সুদানে অস্ত্রবিরতিতেও যুদ্ধ
২৬ মে ২০২৩ ১৬:৫৫ | আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ ০১:২৭
সুদানে কোনো অস্ত্রবিরতিই মানছে না দুই সশস্ত্র পক্ষ। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এক সপ্তার অস্ত্রবিরতির চতুর্থ দিনে সুদানের দারফুরে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। দুই জেনারেলের অনুগত যোদ্ধারা লড়াইয়ে সবধরনের ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে।
শুক্রবার (২৬ মে) উত্তর দারফুরের রাজধানী এল ফাশারের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহরে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। দুই পক্ষই কামান, যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে।
গত ১৫ এপ্রিল থেকে দেশটির সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ ক্ষমতা দখলের লড়াই করছে। সুদানের সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। আর আধাসামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে জেনারেল মোহাম্মদ দাগালো। দুই বাহিনীর লড়াইয়ে সুদানজুড়ে চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দুই পক্ষ শুরু থেকেই আর্টিলারি, যুদ্ধবিমানসহ ভারী যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করছে।
ছয় সপ্তাহ ধরে চলা সংঘর্ষে মার্কিন এবং সৌদি মধ্যস্থতায় গত শনিবার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয় দুই পক্ষ। সৌদির বন্দর শহর জেদ্দায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে সুদানের সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী প্যারামিলিটারি আরএসএফ-এর প্রতিনিধিরা ৭ দিনের অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সোমবার (২২ মে) সুদানের স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে এ চুক্তি কার্যকর হয়।
আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় সপ্তায় সুদানে সংঘর্ষে ১৮০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, সংঘর্ষ শুরুর পর এ পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। প্রায় ৩ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে সুদানে কোনো কার্যকরী সরকার নেই। ২০১৯ সালে এক অভ্যুত্থানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামডোকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বরখাস্ত করেছিল সেনাবাহিনী। তখন থেকেই দেশটিতে জরুরি অবস্থা চলছে। সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী দুই পক্ষই সুদানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
সারাবাংলা/আইই