পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
২৩ মে ২০২৩ ১৮:৪৮
ঢাকা: পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ভোক্তাসহ সকলের স্বার্থ বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দেশে পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতা ও সংকট দূর হবে। এতে পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতিও বন্ধ হবে।’
মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে পাবনার সাথিয়া উপজেলার পূর্ব বনগ্রামে কৃষি বিপণন অধিদফতর নির্মিত পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণের দেশীয় মডেল ঘর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে চাহিদার চেয়েও বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। কিন্তু এক-তৃতীয়াংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে পেঁয়াজের ঘাটতি হয়, দাম অস্বাভাবিক হয়, নানা রকম রাজনীতি শুরু হয়। পাশের দেশ ভারত থেকেই আমদানি বেশি করতে হয়, ভারত অনেক সময় রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে, এতে চরম সংকট দেখা দেয়। সেজন্য পেঁয়াজ সংরক্ষণে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি রাখা কঠিন। পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়, পচে যায়। এর ফলে কৃষকেরা মৌসুমে কম দামে দ্রুত পেঁয়াজ বিক্রি করে দেয়। মৌসুম শেষ হলে পেঁয়াজের বাজার আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের হাতে চলে যায়। সে জন্য আমরা পেঁয়াজ সংরক্ষণের এই পরীক্ষামূলক ঘর চালু করেছি। যেখানে ৪ থেকে ৫ মাস পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। এটিতে সফল হলে দেশে পেঁয়াজের সংকট হবে না। আমদানিও করতে হবে না, বরং রফতানি করা যাবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হলো, কৃষক যেন তাদের ঘাম ও পরিশ্রমের সঠিক দাম পায়। অন্যদিকে কম আয়ের মানুষের জন্য এই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মশলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে। উৎপাদনকারী ও ভোক্তা দুই শ্রেনীর জন্য এর সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।’
এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/আইই