বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী
২১ মে ২০২৩ ১৭:১০ | আপডেট: ২২ মে ২০২৩ ০০:০৫
ঢাকা: পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কেজি কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। সেইসঙ্গে দাম কিছুটা কমতির দিকে থাকায় আরও দুই থেকে তিন দিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (২১ মে) সকালে সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গতবছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও মজুত ভালো ছিল। দাম কম ছিল। দাম বাড়বে- এই আশায় মজুত করে রাখা পেঁয়াজ পচে গিয়েছিল। এতে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেজন্য, এ বছর পেঁয়াজের কী অবস্থা আমরা দেখতে চাচ্ছি। কৃষকের কাছে, গুদামে ও আড়ৎদারের কাছে কী পরিমাণ পেঁয়াজ আছে তা দেখতে মাঠ পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা খোঁজ-খবর নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মাঠ থেকে তথ্য পেয়েছি যে, যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুত আছে। তবে, দাম আরও বাড়বে- এই আশায় বাজারে বিক্রি করছে না। তাছাড়া, কেবলই পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়েছে। এই মুহূর্তে দাম বাড়ার কথা না। সিন্ডিকেটের হাত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় মধ্যম ও সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত চাষির স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি। কারণ, গতবছর কৃষকেরা দাম কম পাওয়ায় এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে প্রায় দুই লাখ টনের মতো। আমরা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করছি, গভীরভাবে বাজার পর্যবেক্ষেণ করছি। পেঁয়াজ আমদানি করা হবে কি না সে বিষয়ে দুই/তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি রাখা কঠিন। পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়, পচে যায়। তবে পেঁয়াজ কীভাবে গুদামে রাখা যায় তার জন্য আমরা কিছু প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি। যদি শেলফ লাইফ বাড়ানো যেত, তাহলে আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে, তাতে পেঁয়াজ দিয়ে বাজার ভাসিয়ে দেওয়া যেত।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম