‘তেজগাঁও রেলস্টেশন-এয়ারপোর্ট পর্যন্ত হবে আন্ডারপাস’
১৯ মে ২০২৩ ১৪:১৭ | আপডেট: ১৯ মে ২০২৩ ১৯:১২
ঢাকা: রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে আন্ডারপাস নির্মাণের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের তেজগাঁও রেলস্টেশন আর এয়ারপোর্টের মধ্যে একটা আন্ডারপাস তৈরি করা হবে। প্ল্যান ও ডিজাইনটা দেখে দিয়েছি, সেটা হয়ে যাবে।’
শুক্রবার (১৯ মে) ‘হজ কার্যক্রম-২০২৩’ উদ্বোধন এবং হজ যাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা হজ ক্যাম্পের উন্নতি করেছি। আরেকটা কাজ করে দিচ্ছি, আমাদের তেজগাঁও রেলস্টেশন আর এয়ারপোর্টের মধ্যে একটা আন্ডারপাস তৈরি করে দিচ্ছি। এই আন্ডারপাস খুব আধুনিক হবে। এমনকি এখানে মালপত্র ঘাড়ে করে টানতে হবে না। সেই ধরনের ব্যবস্থা করা হবে। যাত্রীরা যাতে সহজে মালপত্র নিতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা থাকবে। আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা করব করে দেব। প্ল্যান ও ডিজাইন দেখে দিয়েছি, সেটা হয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে ১৪০ হজযাত্রী, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর ২১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম।
প্রসঙ্গত, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় আধুনিক আন্ডারপাস নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। যাত্রী ও পথচারীরা যাতে নিরাপদে বাস, বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনে পৌঁছাতে পারেন।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ১০৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রস্তাবিত আন্ডারপাসটিতে ৯টি প্রবেশ ও বহির্গমন পথ থাকবে। এগুলো হলো- হজ ক্যাম্প, আশকোনা, বিমান বন্দর রেলওয়ে (বিআরটি) স্টেশন, বিমানবন্দর টার্মিনাল-১, ২ এবং ৩, বিমান বন্দর উত্তর গেট, দক্ষিণ গেট এবং এমআরটি স্টেশন।
আধুনিক এই আন্ডারপাস নির্মাণে ব্যয় হবে ১ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। সরকারি তহবিল থেকে এই অর্থের যোগান দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরেই শুরু হবে প্রকল্পের নির্মাণকাজ। আগামী দু বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে প্রস্তাবনায়।
সারাবাংলা/এনআর/এনএস