Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘পেইন্টারদের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য পদ্মা সেতুর পেইন্টিং নিয়ে গেছি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৫ মে ২০২৩ ১৭:৩৮ | আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ১৯:১৯

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশে যে খুব ভালো মানের পেইন্টার আছে, যারা খুব চমৎকার পেইন্টিং করতে পারে; সেটা জানানোর জন্যই বিশ্বব্যাংকে পদ্মা সেতুর পেইন্টিং নিয়ে গেছি। বিশ্বের কারও যদি পেইন্টিংয়ের প্রয়োজন হয় আমাদের কাছে চাইতে পারবে। আর বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় জায়গাটা হচ্ছে পদ্মা সেতু। এটাই, আর কিছু না। অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই।

সোমবার (১৫ মে) বিকেলে গণভবনে সম্প্রতি ত্রিদেশীয় সফর পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব শীর্ষক’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর পেইন্টিং বিশ্বব্যাংকের প্রধানকে উপহার দেন। এই উপহার দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী উল্লিখিত জবাব দেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের অনুষ্ঠানে যোগদান ছাড়াও জাপান সফর করেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের রাজা-রাণীর রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ত্রিদেশীয় সফর শেষে দেশে ফিরে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী তার সফর নিয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দুই পাশে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ৯ মে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে সকাল ১০টার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল ত্রিদেশীয় সফরের অংশ হিসেবে প্রথমে জাপান যান। তার জাপান সফর উপলক্ষে কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প আপগ্রেড, জাহাজ পুনর্ব্যবহার, শুল্কবিষয়ক, বুদ্ধিবৃত্তিক বৈশিষ্ট্য, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে আটটি চুক্তি সই হয়।

এর পর ২৯ এপ্রিল তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছান। সেখানে ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি’ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠক এবং বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার সঙ্গে বৈঠকসহ বেশকয়েকটি বৈঠক ও একটি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

সর্বশেষ ৪ মে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশের রাজা ও রানী হিসেবে তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী ক্যামিলার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডন পৌঁছান। ৭ মে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও কমনওয়েলথের মহাসচিব ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডও ক্লারিজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হোটেলে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী লন্ডন ম্যারিয়ট হোটেলে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এর পর তিনি ৯ মে দেশে ফেরেন।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর