Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরানো হলো ১৫০ পরিবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ মে ২০২৩ ২৩:৩৫ | আপডেট: ১৪ মে ২০২৩ ০৮:৩২

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় মোখা’র আঘাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পাহাড় থেকে প্রায় ১৫০ পরিবারকে সরিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শনিবার (১৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় জেলা প্রশাসনের টিম নগরীর আকবর শাহ থানার ফয়’সলেক সংলগ্ন ঝিল এলাকায় অভিযান চালায়। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটানা অভিযানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী ১৫০ পরিবারকে অপসারণ করে ঘরগুলো খালি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের আরডিসি নু এমং মং মারমা, বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামিউল হিকমাহ, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদ রানা এবং আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) গালিব চৌধুরী।

এদিকে, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান রাত ৮টায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে লোকজনকে অপসারণ কার্যক্রম মনিটরিংয়ে যান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে, শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যা হতে চট্টগ্রাম নগরীর ২৬ ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে একযোগে মাইকিং শুরু করে জেলা প্রশাসন। এসব পাহাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি পরিবার বসবাস করে বলে সংস্থাটি তথ্য দিয়েছে।

নগরীর আকবর শাহ থানার ফয়’সলেক সংলগ্ন তিনটি ঝিল, শান্তিনগর, লালখান বাজারের মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, পোড়াকলোনি পাহাড়, আমিন জুট মিল পাহাড়, টাংকির পাহাড়, ভেড়া ফকিরের পাহাড়, বার্মা কলোনির পাহাড়ে শনিবার সকাল থেকে মাইকিং করতে দেখা গেছে। সেখান থেকে কিছু কিছু পরিবারকে ভ্যানগাড়িতে করে রান্নার সরঞ্জাম, বিছানা, আসবাবপত্র নিয়ে সরে যেতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক টিম, সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকরা পুরো কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ঝুঁকিপূর্ণ ২৬টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৬ হাজার ৫৫৮। পাহাড়গুলোর মধ্যে সরকারি ১৬টি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০টি। এর মধ্যে রেলওয়ে, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত বিভাগ, বন বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থা পাহাড়ের মালিকানায় আছে।

২০১৯ সালে সরকারিভাবে গঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি চট্টগ্রাম নগরীতে ১৭টি পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবারকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসের জন্য চিহ্নিত করেছিল। প্রতিবছর বর্ষায় অবৈধ বসতি উচ্ছেদে পাহাড়ে অভিযান চালানো হলেও ক্রমশ অবৈধ বাসিন্দা বাড়ছে।

২০০৭ সালে পাহাড় ধসে চট্টগ্রামে বড় ধরনের মর্মান্তিক বিপর্যয় ঘটে। ওই বছরের ১১ জুন নগরীর কুসুমবাগ, কাইচ্যাঘোনা, সেনানিবাসের লেডিস ক্লাব সংলগ্ন লেবুবাগান, বায়েজিদ বোস্তামী, লালখান বাজারের মতিঝর্ণা পাহাপড়সহ সাতটি স্থানে পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়ে মারা যায় শিশু-নারী ও বৃদ্ধসহ সব বয়সের ১২৭ জন।

পাহাড় ধসে ২০০৮ সালে মারা যায় ১২ জন। ২০১১ সালে একই পরিবারের পাঁচজনসহ ১৭ জন, ২০১২ সালে মারা যায় ২৩ জন। এভাবে প্রতিবছরই পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়ে মৃত্যু হয়।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

টপ নিউজ পাহাড়

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর