৩ বিভাগে অতি ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস, হতে পারে ভূমিধসও
১৩ মে ২০২৩ ১৫:৩৭
ঢাকা: আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, শনিবার (১৩ মে) রাত থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও সক্রিয় হয়ে চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূল এলাকায় প্রভাব শুরু করতে পারে। ফলে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেটে অতি ভারি বর্ষণেরও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এর কারণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে বলে সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আরও বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে এবং অতি ভারি বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
এসময় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/এমও