‘বিএনপির দাবিনামা নিয়ে বিদেশি বন্ধুরা একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
১০ মে ২০২৩ ১৪:২২ | আপডেট: ১০ মে ২০২৩ ১৬:২২
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির দাবিনামা নিয়ে বিদেশি বন্ধুরা একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। তারা একটা কথাই বলেছে, বাংলাদেশে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন চায়। এছাড়া অন্য কোনো বিষয় বলেনি।
বুধবার (১০ মে) সকালে ‘সাব-রেজিওনাল মিটিং অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ অন এক্সিলারেটিং দ্য ট্রানজিশন টু ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ শীর্ষক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা হলে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিদেশি কূটনৈতিকরা বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার ব্যাপারে কোন দূতিয়ালি করছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমি দূতয়ালি সম্পর্কে কিছুই জানি না। বিএনপি যেসব দাবিনামা নিয়ে মাঠে নেমেছে; সরকারের পদত্যাগ, পার্লামেন্টের বিলুপ্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এই তিনটা বিষয়ের কোনটির ব্যাপারে বিদেশি বন্ধুরা কেউ সরকারের কাছে কোন প্রস্তাবও করেনি, কোন চাপও সৃষ্টি করেনি। এটা বিএনপিই বলছে।
তিনি বলেন, এটা বিদেশিদের ব্যাপার নয়। তারা একটা কথা বলেছে, বাংলাদেশে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন চায়। এছাড়া অন্য কোন বিষয় বলেনি। তাদের (বিএনপি) দাবি, দাবিনামা নিয়ে বিদেশিরা কখনও একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণে সরকার দয়া বর্ষণ করছে না। রাজনৈতিক দল হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রয়োজন। এটাই দুনিয়ার সব দেশে দেখে থাকি। কাজেই আমরা তাদের কোন ফাঁদে ফেলছি। আমরা কোন প্রলোভনে নিচ্ছি না। যেকথাটা নিয়ে প্রলোভন আর ফাঁদের কথা বলা হয়েছে। এ কথাটা সাংবাদিকদের, আমাদের না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে তারা বিশ্বাস করছে না কেন? আওয়ামী লীগ কি প্রতিশ্রুতি তাদের দিয়েছিল? নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী এবং পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার। সে অধিকার তাদের প্রয়োগ করা উচিত। নির্বাচনে আসাটা তাদের বিষয়। এখানে আওয়ামী লীগ তাদেরকে অনুগ্রহ করবে কেন? আওয়ামী লীগ কেন ডেকে আনবে? আমি তো এর মানে বুঝি না! তারা কি বোঝাতে চায় ?
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা না করে তার মায়ের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা করছে এবিষয়ে কেন্দ্র থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সে (জাহাঙ্গীর) আওয়ামী লীগ করত। সে আওয়ামী লীগে ছিল। আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র হয়েছে। কিন্তু তার (জাহাঙ্গীর) মা প্রকাশ্যে কখনও আওয়ামী লীগ করেছে বলে আমাদের জানা নেই। কাজেই তাকে বিরত রাখা আমাদের বিষয় নয়। আর এটাতো নির্বাচন কমিশনের আচরণেরও বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীরের মা’তো কখনও আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতিতে ছিলেন না। কাজেই তার মায়ের সঙ্গে তাকে প্রচারণায় মেলানো এটা ভিন্ন বিষয়। এই মুহূর্তে দলীয় কোনো সিদ্ধান্তের আগে আমি কিছু বলতে চাই না।
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের কো-অপারেশন ম্যানেজার দানদান চেন, ইউনিসক্যাপের পরিবহন বিভাগের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিভাগীয় প্রকৌশলী মাদান বি রেগমি প্রমুখ।
সারাবাংলা/এনআর/এনইউ