Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ


৭ মে ২০২৩ ১১:২৮ | আপডেট: ৭ মে ২০২৩ ১১:৩০

ফাইল ছবি

ঢাকা: স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে নানা কর্মসূচি।

রোববার (৭ মে) সকালে তার নিজ বাড়ি হায়দরাবাদ গ্রামে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, কালো ব্যাচ ধারণ, মিলাদ, দোয়া মাহফিল করা হয়।

এদিন সকাল ১১টায় শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি। মন্ত্রী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর পরই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. মোস্তফা কামালসহ আরও অনেকে।

শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে ও শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল তার বাবার ১৯তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে তার জন্য দোয়া চেয়ে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুই দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি জোট সরকারের মদতপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। পরে ২০০৫ সালের ১৬ মে এই মামলার রায়ে ২২ জনের ফাঁসি ও ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট ডিভিশন আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আবেদনের শুনানি শেষে ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং আট জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে ১১ জনকে খালাস দেয়। বিচার চলাকালে দুইজন আসামি মারা যাওয়ায় তাদের আপিল নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামির আপিল না থাকায় তার ব্যাপারে আদালত পূর্বের রায় বহাল রাখে।

মামলার বাদী মরহুমের ছোট ভাই গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান মতি বলেন, ‘শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। বিচারকার্য দ্রুত সমাপ্ত করে রায় কার্যকর এবং দেশের বাইরে পলাতক আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি করেন। যারা জেলে রয়েছেন তাদের রায় দ্রুত কার্য়কর করা না হলে তারা আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।’

আহসান উল্লাহ মাস্টার মৃত্যুবার্ষিকী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর