হালদায় বিচরণ বেড়েছে মা মাছের, শিকারির ঘেরা জাল জব্দ
৪ মে ২০২৩ ১৭:৫২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ‘প্রজনন সক্ষম’ মাছের প্রজনন মৌসুমে চট্টগ্রামের হালদা নদীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার মিটার নিষিদ্ধ ঘেরা জাল জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) ভোরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে অভিযান চালানো হয়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিদুল আলম সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, উত্তর মাদার্শা, গড়দুয়ারা, ছিপাতলী, নাঙ্গলমোড়া, গুমানমর্দ্দন ও ধলই ইউনিয়নে হালদা নদী থেকে ছয়টি ঘেরা জাল জব্দ করা হয়েছে। এর আনুমানিক দৈর্ঘ্য তিন হাজার মিটার।
‘হালদায় মা মাছের প্রজনন মৌসুম চলছে। মা মাছের নদীতে বিচরণ বেড়েছে, যে কোনো সময় ডিম ছাড়তে পারে। এ সুযোগে প্রজনন সক্ষম মা মাছ ধরার জন্য শিকারীরা নদীতে ঘেরা জাল বসাচ্ছে। অথচ স্পর্শকাতর সংরক্ষিত অঞ্চলে মা মাছ ধরা নিষিদ্ধ। আমরা মা মাছ নিধন বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি’- বলেন ইউএনও
উল্লেখ্য, পাবর্ত্য জেলা খাগড়াছড়ি থেকে প্রবাহিত হয়ে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে এসে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে মিলিত হওয়া হালদা নদীর দৈর্ঘ্য ১০৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৩৪ মিটার। এটি পৃথিবীর একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী যেখানে রুই জাতীয় মাছ ডিম ছাড়ে এবং নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়।
প্রতিবছর এপ্রিলের শেষ অথবা মে মাসে অমাবস্যা বা পূর্ণিমার তিথিতে ভারী বজ্রসহ বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল নামলে এবং নদীর তাপমাত্রা ও লবণাক্ততা অনুকূলে থাকলে রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালাবাউশ জাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়ে। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা সেই ডিম সংগ্রহ করে রেণু ফুটিয়ে পোনা উৎপাদন করে। ডিম সংগ্রহ নিয়ে প্রতিবছর হালদা পাড়ে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।
তবে শিল্প-কারখানার বর্জ্য, বালু উত্তোলনকারী ও চোরা শিকারিদের উৎপাতে দখল-দূষণে হালদা নদীর বিপন্ন দশার খবর বারবার আসে গণমাধ্যমে।
সারাবাংলা/আইসি/একে