Saturday 18 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অধ্যাপক তাহের হত্যা: রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩ মে ২০২৩ ১৭:৩৬

হাইকোর্ট

ঢাকা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের হত্যা মামলায় মামলায় আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ডিত এক আসামির করা আবেদন খারিজের রায় প্রকাশ হয়েছে।

বুধবার (৩ মে) রিভিউ খারিজ করে দেওয়া ২১ পৃষ্ঠার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হাতে পেয়েছেন তাহেরের পরিবার।

এখন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে পারবেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, এখন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। সেটা খারিজ করা হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।

অধ্যাপক তাহেরের মেয়ে আইনজীবী সেগুফতা তাবাসুম আহমেদ জানান, রিভিউ খারিজের রায় হাতে পেয়েছি। এটা একটা আশার আলো। এখন আশা করছি অতি দ্রুত কার্যকর হবে।

এর আগে, ২ মার্চ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আট বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রিভিউ খারিজ করে দেন।

ফলে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসির কাষ্ঠে যেতেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে তার আগে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। আর যথারীতি যাবজ্জীবন দণ্ডিতদের সাজাভোগ করতে হবে।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী ও নিখিল কুমার সাহা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

জানা যায়, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

সেই মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চার জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুই জনকে খালাস দেন।

ওই রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা আসামিরা হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত অধ্যাপক তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম। আর ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন- নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম।

এরপর হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। অন্যদিকে সাজা কমিয়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।

এরপর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় রাবির একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও অধ্যাপক তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং আরও দুই আসামির যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ।

গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন। এরপর বছরের গত ৫ অক্টোবর ৬৮ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করা হয়।

এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত রাবির সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম এবং যাবজ্জীবন দণ্ডিত আব্দুস সালাম রিভিউ আবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রিভিউয়ের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর শেষ হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি। আর গত ২ মার্চ রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। এরপর রিভিউ খারিজ করে দেওয়া রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালত।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

অধ্যাপক তাহের হত্যা টপ নিউজ রিভিউ খারিজ হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর