মিয়ানমার সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ মে ২০২৩ ১০:৫৭ | আপডেট: ৩ মে ২০২৩ ১৫:২৫
মিয়ানমারকে তার নিজস্ব উপায়ে উন্নয়নের পথ খুঁজে নিতে সহায়তা করবে বলে ফের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং মিয়ানমারে সফরে গিয়ে তার দেশের এমন অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অং সান সু চির গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা হাতে নেয় দেশটির সামরিক বাহিনী। এর পর থেকে দেশজুড়ে গণতন্ত্রপন্থীরা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ প্রায় প্রতিদিনই চলছে। পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন বা সীমিত করেছে। তবে মিয়ানমার জান্তা সরকারের সবচেয়ে বড় সমর্থক হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের পর কিন গ্যাং শীর্ষ চীনা নেতা যিনি নেপিডো সফরে গেলেন।
মঙ্গলবার (২ মে) মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর সঙ্গে বৈঠক করে কিন গ্যাং। চীনের রাষ্ট্র-চালিত টেলিভিশন চ্যানেল সিজিটিএন-এর খবরে বলা হয়, মিন অং হ্লাইংকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে, বেইজিং মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। বৈঠকে দুই নেতা দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও উন্নীত করতে সম্মত হয়েছেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে কিন গ্যাং বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা এবং শান্তি ও পুনর্মিলন অর্জনে সহায়তা করার জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালন করা।
এদিকে মিয়ানমারের রাষ্ট্র-চালিত নিউজ নেটওয়ার্ক এমআরটিভি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারের তার সফর শুধু দুই দেশের বন্ধুত্বই তুলে ধরে না, বরং বিশ্বমঞ্চে মিয়ানমারের প্রতি চীনের অবস্থানেরও ইঙ্গিত দেয়।
এদিকে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া অপর এক খবরে জানা গেছে, বৌদ্ধদের ধর্মীয় উৎসব কাসোনে পূর্ণিমা উপলক্ষে ২১৫৩ জন কারাগারে বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। ভিন্নমত দমনে সামরিক জান্তার অভিযানে গত দুই বছরে বিভিন্ন সময়ে তাদের আটক করা হয়েছিল।
সারাবাংলা/আইই