যুগপৎ আন্দোলনের ‘যৌথ ঘোষণা’ শিগগির: খসরু
২ মে ২০২৩ ১৮:৩১ | আপডেট: ২ মে ২০২৩ ১৮:৩৩
ঢাকা: যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা শিগগির জাতির সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (০২ মে) গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির মধ্যকার বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে একটা জয়েন্ট স্টেটমেন্ট (যৌথ ঘোষণা) করব, এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্য যতগুলো দল ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে আছে, সকলে মিলে আমরা একটি যৌথ ঘোষণা দেব জাতির সামনে। এটা খুব তাড়াতাড়ি হবে।’
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে চলমান আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলন অব্যাহতভাবে চলছে সেটা আপনারা দেখতে পারছেন এবং এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে সমস্ত কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন, আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আলোচনার একটা জায়গা হচ্ছে- অতীতে যেভাবে আন্দোলনে সরকার পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশে, বর্তমানের আন্দোলন এর চাইতে আলাদা। এটা আপনাদেরকে সুনির্দিষ্টভাবে বলছি। আমরা কেবলমাত্র সরকার পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করছি না, আমরা এই সরকার বদল এবং এই যে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলো ক্ষমতায় আসীন হয় তাদের কাঠামো বদলের জন্য আমরা রাষ্ট্রের সংস্কার কিংবা মেরামতের জন্য সরকার পরিবর্তনে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘এই লক্ষ্যে আমরা অল্পদিনের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ অপরাপর বাংলাদেশকে নিয়ে যারা ভাবেন, বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে যারা ভাবেন তাদের সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে- সেটার রূপরেখা আমরা আপনাদের সামনে যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে তুলে ধরব- সেই বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐক্যমত হয়েছে। খুব সময়ের মধ্যে সেটা আমরা তুলে ধরব বলে আশা করছি।’
বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির আমির খসরুর সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
সারাবাংলা/এজেড/এনইউ