ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অপচেষ্টা বন্ধের দাবি শ্রমিকদের
১ মে ২০২৩ ১৩:০২ | আপডেট: ১ মে ২০২৩ ১৭:৩৫
ঢাকা: শ্রমিক ধর্মঘট আহ্বানের অধিকার হরণের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে আইনের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের যেকোনো আন্দোলন এবং সংবিধান ও শ্রম আইন স্বীকৃত অধিকার কেড়ে নেওয়ার সুযোগের বিল অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
সোমবার (১ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়। ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে এই শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম। তিনি বলেন, ‘মুনাফালোভী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অমানবিক নিপীড়ন শিকার শ্রমজীবী মানুষের সর্বোচ্চ ত্যাগ শোষণ, বৈষম্য ও জুলুমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ শ্রমিকেরা ঐতিহাসিক বিজয়ের ফলে এই মে দিবস। যা যুগের পর যুগ সারা বিশ্বের শ্রমজীবী জনগণকে আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৪৯ ধারা অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পর পর ন্যূনতম মজুরি হার সুপারিশের বিধান এবং ১৪০ (ক) ধারায় বিশেষ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় নতুনভাবে মজুরি কাঠামো ঘোষণা বিধান আছে।’
তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর পর পর মজুরি বোর্ড গঠন করে ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণের আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও মজুরি কাঠামো গঠনের কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা দেখা যায়নি। বিশ্ববাজারের দোহাই এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে ক্রমাগত পণ্যমূল্য বাড়ছে এবং বাড়ি ভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। এর ফলে শ্রমিকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রকৃত মজুরি অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় শ্রমিকরা অপুষ্টি আর কঠিনতম জীবনযাপন করছে। এ অবস্থায় গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকাসহ মজুরি কাঠামো ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’
শ্রমিক-কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকা ঘোষণাসহ সমাবেশে থেকে ৮টি দাবি তুলে ধরা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাদিজা রহমান, সহ-সভাপতি মিসেস সুইটি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, দফতর সম্পাদক রাবেয়া ইসলাম, মিরপুর আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. তাহেরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, সংগঠক জোসনা বেগম, সালমা বেগম, রোকসানা, আমেনা, সোনিয়াসহ অনেকে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও