বিএনপির কাছে আস্থার পরীক্ষা দিতে চায় ইসি
২৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৫৫ | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ২১:১৬
ঢাকা: আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নিয়ে বর্তমান কমিশনের পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, আমাদের পরীক্ষা নিন। আমরা পরীক্ষা দিতে সবসময় প্রস্তুত। আপনারা তো আমাদের পরীক্ষাই নিচ্ছেন না। পরীক্ষা না নিয়েই আপনারা কীভাবে বুঝলেন যে আমরা অকৃতকার্য হলাম?
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন বিএনপির কাছে আস্থার পরীক্ষা দিতে সবসময় প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটিতে ভোট, বেশির ভাগ দল এসব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এটা কমিশনের প্রতি আস্থাহীনতা কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আলমগীর বলেন, ৩৯টি দলের স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে..। তাদের তো স্থানীয় পর্যায়ে অফিস থাকতে হবে। সব জেলায় সব দলের তো অফিস না-ও থাকতে পারে।
বিএনপির কি অফিস নেই- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে তারা বলেছে যে নির্বাচনে অংশ নেবে না। তবে আমাদের এটা বলেনি যে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা থাকায় তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না।
ইসি আলমগীর বলেন, ছোট ছোট দলের ওইরকম অফিস নেই। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো যোগ্য প্রার্থী না-ও থাকতে পারে। সেটা তাদের ব্যাপার। বড় দলগুলো তো আসছে। বিএনপি আসেনি এটা তো তাদের রাজনৈতিক কৌশল। এটা আমাদের ব্যর্থতা নয়। তারা কি বলেছে যে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ নির্বাচন করেছে, এজন্য আসবো না?
সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অনেকে আচরণ বিধি মানছেন না, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দোয়া চাচ্ছেন। এ বিষয়ে কমিশনের বার্তাটা কী-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা দোয়া চেয়েছেন তারা অনেকেই প্রার্থী না। কিসের দোয়া চেয়েছেন সেটা তো লেখা নেই। নমিনেশন নেওয়া ও তা জমা দেওয়ার পর বিষয়টি বোঝা যাবে।
মো. আলমগীর বলেন, রিটার্নিং অফিসার যিনি আছেন তার লোকবল অল্প। তিনি অনেক প্রচারসামগ্রী উঠিয়ে নিয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দ যেদিন হয়, সেদিন থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়। সেদিন থেকে অফিসিয়ালি আচরণ বিধি না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শো-ডাউন করা যাবে না জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, আইনে আছে যে শো-ডাউন করা যাবে না। কিন্তু আমাদের কালচারটা হলো শো-ডাউনের। একটা কালচার তো একদিনে পরিবর্তন হয় না। সেজন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলা আছে, অন্তত যখন কেউ নমিনেশন পেপার জমা দিতে আসবেন, তখন যেন শো-ডাউন না করেন।
সারাবাংলা/জিএস/এনইউ