ঢাকা: প্রতিবছরের মতো এবারও রমনা বটমূলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাল ছায়ানট। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে আহির ভৈরব সুরে সারেঙ্গিবাদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। প্রায় আট মিনিটের এ পরিবেশনার পর শুরু হয় গানের পালা।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বৈশাখের সকালে এভাবেই বঙ্গাব্দ ১৪৩০ বা বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়।
এদিন সকালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীরা কণ্ঠ ছেড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। প্রথমে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে যন্ত্রবাদনের মাধ্যমে শুরু হয় বাঙালির বর্ষবরণ। নতুন বছরের প্রথম সূর্য ওঠার শুরুতেই আনন্দঘন পরিবেশে সম্মিলিত কণ্ঠে ছায়ানটের শিল্পীরা রবীন্দ্রসংগীতের মাধ্যমে বঙ্গাব্দ ১৪৩০-কে স্বাগত জানান। এরপর একে একে ১০টি সম্মিলিত গান, ১১টি একক গান, দুটি আবৃত্তি আর সবশেষে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শেষ হয় ছায়ানটের বর্ষবরণ উৎসব।
জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় বটমূলে আসা সবাই দাঁড়িয়ে ছায়ানটের শিল্পীদের সঙ্গে জাতীয় সংগীতে সুর মেলান। সম্মেলক গানের ফাঁকে ফাঁকে বিশিষ্ট শিল্পীদের একক কণ্ঠে ছিল গান ও আবৃত্তি। এবারের গানগুলো সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম, দেশপ্রেম, আত্মবোধন আর জাগরণের সুরবাণী দিয়ে।
অনুষ্ঠানটি রমনা বটমূল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করে। এ ছাড়া ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেলেও সরাসরি অনুষ্ঠানটি দেখানো হয়।
ছায়নাটের ওয়েবসাইট লিংক www.chhayanaut.com/digitalplatformchhayanaut).