ফ্রিল্যান্সাররা শক্তিশালী রেমিট্যান্স যোদ্ধা: পরিকল্পনামন্ত্রী
১৩ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৫৬
ঢাকা: আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের পাশাপাশি দেশের ফ্রিল্যান্সাররা আমাদের শক্তিশালী রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলে মনে করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান। তিনি বলেছেন, ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত অর্থে আমাদের রেমিট্যান্স দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। দেশে মোট সাড়ে ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার প্রায় ১০০ কোটি ডলার রেমিটেন্স আনছে। বর্তমান বিশ্ব বাজারে দেশের উন্নয়নে ফ্রিল্যান্সাররা অনেক অবদান রাখছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এই তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ফ্রিল্যান্সারা বেশি বেশি আয় করছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সিটিব্যাংক বিএফডিএস কনফারেন্স-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিএফডিএস) এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংগঠনটির উদ্যোগে সারা বাংলাদেশ থেকে আগত ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে ও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ থেকে আগত অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকরা সম্মেলনে অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মান্নান বলেন, ‘স্মাট বাংলাদেশ গঠনে সরকার নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলেই বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এটি একটি বড় অর্জন। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এখন গ্রামে বসেই তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সাররা মুক্ত বিহঙ্গের মতো। তারা যা খুশি তাই করে। আমাদের তরুণেরা অনেক সাহসী, তরুণকালে এত সাহস আমার ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সারদের অবদান সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে পড়ছে। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অর্জিত বিদেশি আয় নির্ধারিত অনলাইন প্লাটফর্মগুলোর মাধ্যমে দেশে আনলে এর বিপরীতে ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। দেশের প্রতিটি ব্যাংককে এই ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
অনুষ্ঠানে বিএফডিএস প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন জয় বলেন ফ্রিল্যান্সারদের সুখে-দুঃখে সবসময় আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের জীবনমান উন্নয়নসহ মেধা ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিতে দেশকে এগিয়ে নিতে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে বিএফডিএস।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান ডা.তানজিবা রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজার দেড় ট্রিলিয়ন ডলার, এ বাজারে কাজ করছে বাংলাদেশের অননাইন ও অফলাইন মিলিয়ে প্রায় সারে দশ লাখ মানুষ। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কর্মী হিসাবে আমরা বিশ্বের দ্বিতীয় । অথচ আয়ের দিক থেকে ৮তম । আমদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংকিং ঋণসহ অন্যান্য সুবিধাদি পাচ্ছে। ঘরে বসে মহিলারাও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছে। বাংলাদেশের এই আন্তর্জাতিক অনলাইন প্লাটফর্মে কর্মরত রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অনেক সমস্যা রয়েছে। বিএফডিএস এসব সমস্যা সমাধানে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, আর্থিক, সামাজিক ব্যবস্থাপনা বাধাগুলো নিরসনে সরকারের সাথে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’
সিটি ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিই্ও মাসরু আরেফিন বলেন, ‘আমরা ফ্রিল্যান্সারদের সব্বোর্চ সুবিধা দিয়ে আলাদা কার্ড করেছি। এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা নানা সুযোগ সুবিধাদি ও ব্যাকিং ঋণ পাবেন। ডেবিট কার্ডসহ নানা বিষয়ে আমরা ফ্রি করে দিচ্ছি। ফ্রিল্যান্সারদের উন্নয়নে সিটি ব্যাংক সর্বোচ্চ ছাড় দেবে। তরুণেরা ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করছে। এর ফলে দেশ গঠনে তরুণেরা অবদান রাখছে সিটি ব্যাংকও এ সব তরুণদের পাশে থাকতে চায়।’
সারাবাংলা/জেজে/একে