জনস্বাস্থ্য খাতে জাফরুল্লাহর অবদান স্মরণীয় থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
১২ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৪৫ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:০১
ঢাকা: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
বুধবার (১২ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ওষুধ শিল্প ও জনস্বাস্থ্য খাতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সোমবার (১০ এপ্রিল) ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়। তিনি কিডনি ফেইলর, লিভারের সমস্যা, হার্টের সমস্যাসহ সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন বলে জানান চিকিৎসকরা।
ডা. জাফরুল্লাহর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর, চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে। পিতামাতার দশ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। ঢাকার বকশীবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট উত্তীর্ণের পর তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতের আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন এবং এরপরে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট “বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৭ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৮৫ সালে ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই এবং সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসাবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার স্ত্রী শিরীন হক একজন বিশিষ্ট নারী নেত্রী।
সারাবাংলা/আইই