Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘প্রথম আলোর সাংবাদিক যা বলেছে কম বলেছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ এপ্রিল ২০২৩ ২০:১৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে রাতে ধরে তুলে নিয়ে গেছে। কি জন্য? একটি মানুষ তার পেটের ক্ষুধার কথা বলেছে। শামসুজ্জামান অনেক কম বলেছে।’

সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর চকবাজারে কিশলয় কমিউনিটি সেন্টারে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব),চট্টগ্রাম শাখার এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে নীরব দূর্ভিক্ষ চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি ইতিমধ্যে সাউথ এশিয়ান ইকোনোমিস্টের একটি রিপোর্ট যদি দেখেন সেখানে বলা হয়েছে গত ছয় মাসে দেশের ২৮ শতাংশ মানুষ এক বেলা না খেয়ে আছে। ৭২ শতাংশ মানুষ ধার করে চলছে। ৫২ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছে না। সুতরাং প্রথম আলোর সাংবাদিক যা বলেছে কম বলেছে। এটাকে বলে নীরব দুর্ভিক্ষ। আজকাল নতুন বিশ্ব পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আগের মতো দুর্ভিক্ষ এখন আর হয় না। বাংলাদেশের দূর্ভিক্ষ এই যুগের নতুন দুর্ভিক্ষ।’

আওয়ামী লীগ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান লঙ্ঘন করে সংবিধানের বাইরে গিয়ে তারা নির্বাচন করতে রাজি নেই। তবে বাংলাদেশের সংবিধানের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের সুরক্ষা দেওয়া। দেশের মানুষের অধিকার ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া। আজকে তারা সংবিধানের সব কিছু লঙ্ঘন করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার, মানবাধিকার, আইনের অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যামের স্বাধীনতা তারা কেড়ে নিয়েছে। সংবিধান যা যা সুরক্ষা দিয়েছে, সবকিছু তারা লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু ভোট চুরির বেলায় সংবিধানের দোহাই তারা দিচ্ছে। দিনের ভোট রাতে নিচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

সংবিধানের দোহাই দিয়ে পার পাওয়া যাবে না হুঁশিয়ার দিয়ে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাকশাল করার সময় বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হনন করে ১৩ মিনিটের মাথায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে তারা সংবিধান পরিবর্তন করেছে। আবার তারাই বলছে সংবিধানের বাইরে গিয়ে ভোট করা যাবে না। যারা গনতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে, আইনের শাসন কেড়ে নিয়েছে তারা যদি সংবিধানের দোহাই দেয় সেটা চলবে না। সংবিধানের দোহাই দিয়ে পার পাওয়া যাবে না।’

খালেদা জিয়া সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়েছিলো জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘সাহাবউদ্দিন সাহেবের সময় ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিলো। তখন সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিলো না। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়েছিলো। দুইটাই সংবিধান দুইটাই কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছিলো। একটা নির্বাচনের আগে ও একটা নির্বাচনের পরে।’

‘আমি সরকার প্রধানকে বলব আপনি চিন্তা করেন আগে সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেবেন নাকি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরে যে সংসদ আসবে তারাই সংবিধান সংশোধন করবে। দুইটাই সম্ভব। চিন্তা করেন কি করবেন।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে পার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া আগামীদিনে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোটচোরদের তালিকা হচ্ছে। দেশে ও বিদেশেও হচ্ছে। ভোটচোরদের রেহাই নেই।’

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হারুন আল রশীদ, সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন ও শহীদ হাসান, তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, কোষাধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম শাকিল, নগর ড্যাবের সভাপতি আব্বাস উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব সাইফুদ্দীন নিসার আহম্মেদ।

সারাবাংলা/আইসি/ এনইউ

আমির খসরু টপ নিউজ বিএনপি

বিজ্ঞাপন

দেশপ্রেম ও মেধা পাচার
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৪

আরো

সম্পর্কিত খবর