বঙ্গবাজারের ধ্বংসস্তূপ ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি, চলছে পরিষ্কারের কাজ
৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৩৯
ঢাকা: সূত্রপাতের প্রায় ৭৫ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলেছে ফায়ার সার্ভিস। এরপরই ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রবেশ করেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অনুমতিক্রমে মেসার্স বুশরা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে আগুনের ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ দেওয়া হয়েছে। এসব ধ্বংসস্তূপ ৪০ লাখ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে মেসার্স বুশরা ট্রেডার্স। তারা এই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেওয়ার পর সেখানে ব্যবসায়ীদের জন্য অস্থায়ীভাবে বসার জায়গা করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. নাজমুল হুদা বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর এখান থেকে অনেক মালামাল চুরি হয়ে যায়। ওই সময় চুরি ঠেকানো যায়নি। তবে এখনও অনেক পোড়া স্তূপ পড়ে রয়েছে। সেগুলো দরপত্রের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে আমরা বিক্রি করে দিয়েছি। তারা এখন এগুলো সরাচ্ছে।
সকল ব্যবসায়ীদের অস্থায়ীভাবে বসার সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব হবে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুড়ে যাওয়া মার্কেটটি দুই তলা, তিন তলা ছিল। এখন খোলা জায়গায় সব ব্যবসায়ীকে তো বসার সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব নয়। তারপরও আমরা একটি দোকানে দুইজন করে বসার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, আসলে এখানে তো ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি ব্যবসা করার জন্য বসবে না। ঈদের আগে তারা যদি এখানে একটু বসতে পারে, তাহলে দেনাদার ও পাওনাদারের কিছুটা সহানুভূতি পাবে। পাশাপাশি কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও মালিকদের তালিকার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও মালিকদের তালিকা করার কাজ চলছে। আগামী রোববার আমাদের ব্যবসায়ীদের বৈঠক আছে। সেখানে আমরা চূড়ান্ত তালিকাটি উপস্থাপন করব।
ব্যবসায়ীদের মামলা ও গ্রেফতার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নেতারা বলেন, কে বা কারা হামলা করেছে তা আমরা জানি না। আমরা মেয়রকে বিষয়টা জানিয়েছি, কোনো ব্যবসায়ীকে অযথা যেন হয়রানি করা না হয়।
সারাবাংলা/ইউজে/আইই