পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধের প্রথম চেক প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর
৫ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৫৫ | আপডেট: ৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:০২
ঢাকা: পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থবিভাগের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকা পরিশোধ করল সেতু কর্তৃপক্ষ। সরকারের অর্থ বিভাগ সেতু কর্তৃপক্ষকে এই টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছিল।
বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চেক হস্তান্তর করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি জনগণ যদি আমাদের সঙ্গে থাকে, তাহলে যে কোনো বাধা অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারবে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ সম্পন্ন করাই তার উদাহরণ। শুধু তাই নয়, আজকে পদ্মা সেতুর টোল থেকে সরাসরি আমরা টাকা পরিশোধ করতে পারছি। এজন্য পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের মাননীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘এই যে টাকা পরিশোধ করা, এটা কিন্তু সাধারণত এমনিতেই ট্রেজারি চালানে চলে গেছে। আমি এজন্য সামনে নিয়ে আসতে চাইলাম যে এটা আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। বাংলাদেশ যে দেখিয়ে দিল; হ্যাঁ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করা যায়, আমরা করেছি এবং করে বাংলাদেশের সক্ষমতা আমরা দেখিয়েছি বিশ্বকে। বাংলাদেশের এটা হচ্ছে সবচেয়ে একটা গর্বের নিদর্শন।’
১৪০টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে আগামী ৩৫ বছরে পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারের দেওয়া পুরো ঋণ পরিশোধ করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানিয়েছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেসময় তিনি বলেছিলেন, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন থেকে আদায় করা টোল দিয়ে ৩৫ বছরে ১৪০টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সরকারের দেওয়া সব ঋণ পরিশোধ করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এ হিসেবে টোল আদায়ের মাধ্যমে ২০৫৭ সাল নাগাদ পদ্মা সেতুর জন্য ব্যয় করা অর্থ উঠে আসবে।
পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এই টাকা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ৩৫ বছরে ঋণের টাকা ১ শতাংশ হারে সুদসহ ফেরত দিতে হবে অর্থ মন্ত্রণালয়কে।
এ জন্য তিন মাস পরপর কিস্তি পরিশোধ করতে হবে সেতু কর্তৃপক্ষকে। সব মিলিয়ে ১৪০ কিস্তিতে ঋণের টাকা (সুদ ও আসলে) পরিশোধ করা হবে।
সারাবাংলা/এনআর/আইই