Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আমরা এখন সবাই রাস্তার ফকির’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৫৪ | আপডেট: ৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৫৫

ঢাকা: রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবাজার মার্কেটে মার্কেট দুটি দোকান ছিলো সাজ্জাদুর রহমানের। দোকানের নাম আল মদিনা গার্মেন্টস। ১২ মাস জ্যাকেটের ব্যবসা করতেন। দুটি দোকানে কোটি টাকার বেশি মালামাল ছিলো। এখন তিনি রাস্তার ফকির।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সামনে তিনি সারাবাংলাকে একথা বলেন।

তিনি বলেন, সকাল ৭টায় খবর পেয়ে মার্কেটে আসি। এরপর সব চোখের সামনে শেষ হয়েছে। গতকালও ২৮ লাখ টাকার মাল তুলেছি। থাকি যাত্রাবাড়ি। সেখান থেকে এসে দেখি আমার স্বপ্ন পুড়ছে।

কুতুব উদ্দিন মিয়া। এনেক্সকো মার্কেট তার তিনটা দোকান। তিনি শাড়ির ব্যবসা করতেন। বাপ দাদার আমল থেকে ব্যবসা করে আসছেন। হঠাৎ সকালে কর্মচারীর ফোন পেয়ে মার্কেটে আসেন। এরপর চোখের সামনে সবকিছু পুড়ে ছাই হতে দেখেছেন। আমি এখন কি করবো। দেড় কোটি টাকার বেশি মালামাল ছিলো। সামনে ঈদ। আমি তো শেষ হয়ে গেলাম।

তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস শুধু বঙ্গবাজার মার্কেটে পানি দিয়েছে। এনেক্সকো মার্কেটে পানি প্রথমে দেয়নি। যদি ফায়ার সার্ভিস প্রথম থেকে সমানভাবে পানি দিতো তাহলো আমরা বেঁচে যেতাম। হায় আল্লাহ আমি তো রাস্তায় বসে গেলাম। এখন কর্মচারীগুলোর বেতন দেওয়ারও টাকা নেই আমার। আমি এখন নিঃস্ব।

বঙ্গবাজার মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী হুমায়ন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার পর একটা মালও বের করতে পারিনি। আমাদের কিছুই নেই। আমরা পাঁচ হাজারের বেশি দোকান মালিক ছিলাম। এখন আমরা সবাই রাস্তার ফকির। আমরা এখন অসহায়ের চেয়েও অসহায়। ২টা দোকান ছিলো। আমার গতপরশু ৪০ লাখ টাকার মাল তুলেছি। বাচ্চাদের আইটেম পাইকারী বিক্রি করতাম। আমার এখন কি হবে। কে আমায় বাঁচাবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সকাল ৬টার পর লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে দুপুর ১টার দিকে। ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পাশাপাশি সহযোগিতা করে সেনাবাহিনী,বিমানবাহিনী,নৌ বাহিনী,র্যাব,বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরা।

সারাবাংলা/এসজে/এনইউ

অগ্নিকাণ্ড টপ নিউজ বঙ্গবাজার মার্কেট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর