Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইচ্ছেমতো পাহাড় কাটছেন কাউন্সিলররা—অভিযোগ চট্টগ্রামের ডিসি’র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৫৮ | আপডেট: ৩ এপ্রিল ২০২৩ ২১:২৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগ এনেছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৬তম সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আমিনুর রহমান।

চসিকের কাউন্সিলরেরা ইচ্ছেমতো পাহাড় কাটছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘গত তিনমাসে আমরা অনেকগুলো অভিযান পরিচালনা করেছি। অনেক সময় দেখা গেছে, রাতের বেলা পাহাড় কাটা হয়। আমাদের ভূমি কর্মকর্তারা রাতে ও সকালে অভিযান পরিচালনা করেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন রাস্তা করছে। রাস্তা করবে ভালো কথা, কিন্তু পাহাড় কাটার পারমিশন তো তারা নিতে পারে। কাউন্সিলররা সিটি করপোরেশন থেকে একটি কাগজ নিয়ে ইচ্ছেমতো পাহাড় কাটছে। অনেকগুলো পাহাড় কিন্তু তারা নষ্ট করে দিয়েছেন।’

‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (সিডিএ) বিভিন্ন জায়গায় অনুমোদন দেয়। নিজেরাও পাহাড় কাটে। কিছুদিন আগে এশিয়ান ফর ইউনিভার্সিটিতে ড্রেসিং করার নাম করে পাহাড় কেটেছে। আমরা গিয়ে সেটা বন্ধ করেছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষে এ কাজ এককভাবে করা সম্ভব নয়। সব সরকারি দফতরকে পাহাড় কাটা বিষয়টিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ‘

বৈধতা ছাড়া অবৈধ স্থাপনাকারীরা গ্যাস,বিদ্যুৎ কিভাবে পায় এমন প্রশ্ন রেখে বিভাগীয় কমিশনার আমিনুর রহমান বলেন, ‘পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা থাকাটাই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এসব অবৈধ স্থাপনা তালিকা করে উচ্ছেদ করতে হবে। আর যাদের কোনো বৈধতাই নেই তারা কীভাবে গ্যাস,বিদ্যুৎ পাই সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। যাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে আনা যায় কিনা আমরা দেখছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। ২০০৭ সালে ২৬টি কারণ খুঁজে বের করা হয়েছিল ঠিক কি কি কারণে পাহাড় ধস হয়। সেখানে পাহাড় ধস রোধে ৩৫টি সুপারিশ ছিলো সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করবো। এজন্য একটি কমিটি করা হবে।’

পাহাড়ের বেশিরভাগ অবৈধ স্থাপনা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির-তাদের ব্যাপারে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিভাগীয় কমিশনার আমিনুর রহমান বলেন, ‘অন্যায় মানে অন্যায়। অবৈধ মানে অবৈধ। অবৈধ স্থাপনা যারই হোক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এসময় চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) নিষ্কৃতি চাকমা, র‍্যাব-৭ এর সহকারি পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (মেট্রো) হিল্লোল বিশ্বাস, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শাহরিয়ার নেওয়াজ ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আইসি/এনইউ

কাউন্সিলর কাঁটা টপ নিউজ পাহাড়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর