‘স্বাধীনতাকে ব্যঙ্গ করে প্রথম আলো দেশ-জাতিকে হেয় করেছে’
২ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৫০ | আপডেট: ২ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৫৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপন করে দৈনিক প্রথম আলো দেশ ও জাতিকে হেয় করেছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ শিক্ষক। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করায় পত্রিকাটির সম্পাদক, প্রকাশক এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে প্রচলিত আইনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
রোববার (২ এপ্রিল) বিকেলে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক সমাজ’ নামে ২৬ শিক্ষকের বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
চবি’র বিভিন্ন বিভাগের বিবৃতিদাতা শিক্ষকরা হলেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ মামুন, মাহবুবুল হক, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, রুহুল আমিন, আবুল মনসুর, নাসির উদ্দিন, আনোয়ার সাঈদ, হেলাল উদ্দিন, সজীব কুমার ঘোষ, জামাল উদ্দিন, দানেশ মিয়া, নাজনীন নাহার, অলক পাল, ফরিদুল আলম, বশির আহমেদ, নির্মল কুমার সাহা, রাকিবা নবী, জ্ঞান রত্ন, এনায়েত হোসেন, শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, মনিরুল হাসান, মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, উদিতি দাস, ইকবাল আহমেদ এবং জান্নাতুল ফেরদৌস।
স্বাধীনতা দিবসে ‘আমাদের মাছ, মাংস, চাইলের স্বাধীনতা লাগব’ শীর্ষক প্রথম আলোর করা সেই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখান করে বিবৃতিতে বিবৃতিতে চবি শিক্ষকরা বলেন, ‘প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ছলচাতুরির মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি একটি প্রতিবেদন, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের প্রতিবেদন সাধারণ পাঠকদের বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি দেশ ও জাতিকে হেয় করেছে, যা নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের সব সূচকে ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য দুর্বার গতিতে অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন প্রথম আলোর এ ধরনের প্রতিবেদন আমাদের ক্ষুব্ধ, ব্যথিত ও হতাশ করেছে। আমরা এই প্রতিবেদন ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ প্রথম আলো তাদের অনলাইনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনকে ফেসবুকে ‘কার্ড’ বানিয়ে প্রকাশ হয়। সেখানে জনৈক দিনমজুর জাকির হোসেনের দেশের স্বাধীনতা নিয়ে একটি মন্তব্য অন্য একটি শিশুর ছবি দিয়ে প্রকাশ হয়। তবে ১৭ মিনিটের মাথায় কর্তৃপক্ষ ফেসবুক থেকে সেটি প্রত্যাহার করে নেয়। এ ছাড়া অনলাইনে সংশোধনী প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু এ নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে ওই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ঢাকার রমনা ও তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। একই ঘটনার জেরে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় শামসুজ্জামানকে গত ৩০ মার্চ কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। রোববার (২ এপ্রিল) উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন মতিউর রহমান।
সারাবাংলা/এফএইচ/একে