Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুরান ঢাকায় জমজমাট ইফতার, দামও চড়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩১ মার্চ ২০২৩ ১৮:০১

ঢাকা: পবিত্র রমজান মাস জুড়ে রাজধানীর পুরান ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় বাহারি রকমের ইফতার আয়োজন। বরাবরের মতো এবারও পুরান ঢাকায় জমে উঠেছে ইফতার বাজার। তবে গত বছরের চেয়ে এবার ইফতারসামাগ্রীর দাম বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রায় সব ইফতারসামগ্রীর দামই কিছুটা বেশি। এ জন্য সব ইফতার পণ্যের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেশি রাখা হচ্ছে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর পুরান ঢাকার, বংশাল, নাজিরাবাজার, রায়সাহেব বাজার, নারিন্দা, নাজিমুদ্দিন রোড, দয়াগঞ্জ, তাতীবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় একই চিত্র দেখা গেছে। তবে ইফতারির দামে ক্রেতাদের মধ্যে বেশ অসন্তুষ্টি লক্ষ করা গেছে।

বিজ্ঞাপন

পুরান ঢাকার বংশালে ইফতার কিনতে আসেন তাঁতীবাজারের বাসিন্দা হিমেল নানক। তিনি জানান, গত বছরের চেয়ে এই বছরে সব কিছুরই দাম বেশি। খেতে হলে বেশি দামে কিনতে হবে। পুরান ঢাকায় প্রায় সব জায়গার ইফতারের দাম একই। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে কী করবে বিক্রেতারা। একপ্রকার জিম্মি করে চলছে ক্রয়-বিক্রয়।

রায়সাহেব বাজারের ইফতার বিক্রেতা সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কী করব ভাই, সব জিনিসই বেশি দামে ক্রয় করি। একটু বেশি দামে বিক্রি না করলে কীভাবে আমাদের চলে। ধরেন, বেগুন ১০০ টাকা কেজি হলে, ১ কেজিতে কয়টি চপ হয়? এক কেজি বেগুনের চপ বানাতে কত রকমের মসলা দিতে হয়। এরপর কিভাবে চপ আগের মতো পাঁচ টাকা করে রাখব।’

সাধারণ মানুষের মতো আমরাও বিপদে আছি ইফতার বিক্রয় করা নিয়ে। ইফতার সামগ্রী দাম কমলে আমরাও আগের দামে বিক্রয় করতে পারব বলে জানান সালাউদ্দিন।

পুরান ঢাকার আজম লেন বেগম বাজারে প্রায় ৪২ বছর ধরে পাঁচ পুরুষ মিলে ইফতার সামগ্রী বিক্রয় করেন হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এইবার ইফতার সামগ্রী বিক্রয় বেশি হচ্ছে। আমাদের এখানে বেশির ভাগেই মধ্যম আয়ের মানুষেরা ইফতার কিনে থাকেন। বড় বড় দোকানগুলো দাম বেশি থাকে। আমরা সহনশীল পর্যায়ে ইফতার সামগ্রীর দাম রাখছি। সেই কারণে আমাদের ইফতার আইটেমগুলো বিক্রি বেশি হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর পুরান ঢাকার বাহারি ইফতারের মধ্যে রয়েছে, ছোলা, মুড়ি, ঘুগনি, বেগুনি, আলুর চপ, পেঁয়াজু, আস্ত মুরগির কাবাব, মোরগ মসল্লম, শিকের সঙ্গে জড়ানো সুতি কাবাব, জালি কাবাব, শাকপুলি, টিকা কাবাব, বঁটি কাবাব, কোফতা, চিকেন কাঠি, শামি কাবাব, শিকের ভারী কাবাব, ডিম চপ, তেহারি, মোরগ পোলাও, কবুতর ও কোয়েলের রোস্ট, খাসির রানের রোস্ট, দইবড়া, মোল্লার হালিম, নুরানি লাচ্ছি, পনির, বিভিন্ন ধরনের কাটলেট, পেস্তা বাদামের শরবত, লাবাং, কিমা পরোটা, আধা কেজি থেকে পাঁচ কেজি ওজনের জাম্বো সাইজ শাহি জিলাপিসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন খাবার।

সারাবাংলা/এআই/একে

ইফতার টপ নিউজ পুরান ঢাকা বাজার

বিজ্ঞাপন

কিশোর অপরাধ, আমাদের করণীয়
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:০১

আরো

সম্পর্কিত খবর