পদ্মা রেল সেতুর কাজ শেষ, ৪ এপ্রিল থেকে চলবে বিশেষ ট্রেন
৩০ মার্চ ২০২৩ ১২:২২
ঢাকা: স্বপ্নের পদ্মাসেতুতে সড়কের পর এবার রেল লাইনের কাজও শেষ হলো। বুধবার (২৯ মার্চ) সবশেষ স্লিপার বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুতে রেল লাইন বসানোর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) এই লাইনে পরীক্ষামূলক রেল পরিচালনা করবেন তারা। সেখানে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেলপথে দু’টি বিশেষ ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৫ জুন জমকালো আয়োজনে উদ্বোধন করা হয় স্বপ্নের পদ্মাসেতু। সেতু দিয়ে সড়ক ও রেল একসঙ্গে চলাচলের কথা থাকলেও রেল লাইন বসাতে দেরি হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর সেতু কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ শেষ করে রেলের অংশ রেলওয়েকে বুঝিয়ে দেওয়ার পর গত ২৩ নভেম্বর থেকে লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। যা শেষ হলো ২৯ মার্চ, মাত্র ১২৭ দিনের মধ্যেই। ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পুরো লাইনই পাথরবিহীন। পুরো সেতুতে বসেছে এক হাজার ১২২ টি স্লিপার। এর মধ্যে চীন থেকে আনা হয় ২৪৭ টি। বাকিগুলো বিশ্বমানের করে তৈরি করা হয় বাংলাদেশেই।
পদ্মাসেতুর সড়ক অংশে ২৪ ঘন্টা পূর্ন গতিতে যানবাহন চলাচল করা অবস্থায় নিচের অংশে রেল লাইন স্থাপন করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জের ছিল উল্লেখ করে পদ্মা রেল সংযোগ সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, কাজটি সফলভাবে শেষ হয়েছে। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত মোট ৪২ কিলোমিটার পথে পরীক্ষামূলক রেল চলাচল শুরু হবে ৪ এপ্রিল। এ ছাড়া, ডিসেম্বর নাগাদ রাজধানী ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত এই লাইন দিয়ে যাত্রী নিয়ে রেল চলাচল করবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই পরিচালক।
জানা গেছে, আগামী ৪ এপ্রিল থেকে এ পথে পরীক্ষামূলক ভাবেই দুইটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। এর আগেও ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে শরীয়তপুরের পদ্মা সেতু সংযোগ রেলপথে একটি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছিল।
রাজধানীর সঙ্গে যশোরের সংযোগ স্থাপনে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ টাকা ব্যয়ে ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৬ সালে। অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প হিসেবে নেওয়া এ প্রকল্প ঢাকা- যশোর ও খুলনার মধ্যে ২১২ দশমিক ০৫ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত রুট এবং উন্নত পরিচালন সুবিধার বিকল্প রেলপথ সংযোগ স্থাপিত হবে। এটি বাংলাদেশে ট্রান্স এশিয়ান নেটওয়ার্কের আরেকটি সাব রুট স্থাপন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মালবাহী এবং বিজি কন্টেইনার ট্রেন পরিষেবা চালু করবে। আর এই কন্টেইনার পরিবহনের ক্ষেত্রে গতি এবং লোড সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ