‘আধুনিক চিকিৎসায় আয়ুর্বেদকে একীভূত করা জরুরি’
২৮ মার্চ ২০২৩ ২১:২৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাই কমিশনের আয়োজনে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তারা আয়ুর্বেদকে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর খুলশীতে একটি রেস্তোঁরায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকার আয়ুর্বেদ ও ইউনানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. স্বপন কুমার দত্ত। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মূল বক্তব্যে স্বপন কুমার দত্ত বলেন, ‘আয়ুর্বেদ পাঁচ হাজার বছরের পুরনো চিকিৎসাপদ্ধতি। ভেষজ বা উদ্ভিদের মাধ্যমে যে চিকিৎসা আদিযুগ থেকে চলে আসছিল, সেটা এখন হারবাল চিকিৎসা বা অলটারনেটিভ ট্রিটমেন্ট নামে পরিচিত। এটি এমনই এক চিকিৎসা পদ্ধতি যাতে রোগ নিরাময়ের চেয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রতি বেশি জোর দেওয়া হয়। রোগ নিরাময় ব্যবস্থা করাই এর মূল লক্ষ্য।’
‘ভারত, পাকিস্তানে এই চিকিৎসা বেশি প্রচলিত থাকলেও বাংলাদেশে এর ব্যবহার তুলনামূলক কম। পাশাপাশি উন্নত বিশ্বেও এই চিকিৎসা ব্যাপক জনপ্রিয়। কারণ মডার্ন এলোপ্যাথিতে অনেক ওষুধেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বাংলাদেশের মানুষ তাড়াতাড়ি প্রতিকার চান, এ জন্য এখানে মডার্ন এলোপ্যাথি বেশি কার্যকর। কিন্তু এটা দীর্ঘমেয়াদে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এজন্য বাংলাদেশে আয়ুর্বেদকে মডার্ন এলোপ্যাথির সঙ্গে যুক্ত করার জরুরি।’
আয়ুর্বেদ চিকিৎসা ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত উল্লেখ করে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার রাজীব রঞ্জন বলেন, ‘আয়ুর্বেদ প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞানের একটি গর্বিত ঐতিহ্য। সাধারণ সুস্থতার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক শরীরের জন্য ঐতিহ্যগত ওষুধ এবং নিরাময়মূলক স্বাস্থ্যসেবা। আয়ুর্বেদ হলো শরীর, মন এবং আত্মার সম্প্রীতি তৈরি করার ভারসাম্যপূর্ণ জীবনধারা এবং খাদ্য ও প্রাকৃতিক ভেষজের ব্যবহার। টেকসই স্বাস্থ্যসেবা তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা নিজেদের চিকিৎসা ঠিক রাখব। আয়ুর্বেদ রোগের বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।’
কর্মশালায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আইসি/একে