অভিভাবককে হেনস্থা করা সেই বিচারক প্রত্যাহার
২৩ মার্চ ২০২৩ ১৯:১৮ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ০৯:০০
ঢাকা: বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের হেনস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা জজ বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই বিচারককে প্রত্যাহারে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় সুপ্রিম কোর্ট একমত পোষণ করেছে। এখন এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুর রহমানের সই করা একটি স্মারকে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা জজ বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার বদলিসংক্রান্ত সরকারের প্রস্তাবের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট একমত পোষণ করে।
জানা যায়, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী, সব শিক্ষার্থীর পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার নিয়ম থাকলেও বিচারকের মেয়ে কখনোই শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয় না। বিষয়টি নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার।
এরই জের ধরে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর মাকে বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন তার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন— এমন অভিযোগে গতকাল ২২ মার্চ স্কুলের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে স্কুলের সামনের রাস্তা বন্ধ করে কয়েক দফা প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, গত ২০ মার্চ রাতে স্কুলের ফেসবুকে সহপাঠীদের কটাক্ষ করে একটি পোস্ট লেখে বিচারকের মেয়ে। এতে কয়েকজন সহপাঠী ক্ষুব্ধ হয়ে এর প্রতিবাদ জানায়। পরদিন ২১ মার্চ মঙ্গলবার সকালে স্কুলের অভিভাবক সমাবেশে এসে বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিন তিন শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবককে শিক্ষকের মাধ্যমে ডেকে আনেন। ফেসবুকে তাকে ও তার মেয়েকে নিয়ে ‘অপমানজনক কথা’ বলা হয়েছে এমন অভিযোগে সাইবার অপরাধে অভিভাবকদের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেন বিচারক। এক পর্যায়ে এক শিক্ষার্থীর মাকে বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন। সে সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছা. রাবেয়া খাতুন সেই বিচারকের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের শাসান।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম