মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
১৫ মার্চ ২০২৩ ১৪:৩৬
ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালত তাদের উপস্থিততে চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর মামলাটি পরবর্তীতে বিচারের জন্য বিশেষ জজ-৬ এ বদলীর আদেশ দেন।
এদিন মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের পক্ষে জামিন চেয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন।
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুদকের করা মামলায় হাজির হওয়ার জন্য গত ৫ জানুয়ারি নির্দেশ দেন আদালত।
গত বছর ২৭ ডিসেম্বর আদালতে তাদের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মোহা. নুরুল হুদা।
জানা যায়, আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিনের সহায়তায় অর্জন করেছেন। কেননা আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী, সে হিসাবে ওই সম্পদ অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত বলে প্রমাণ মিলেছে। মির্জা আব্বাস ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য, মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আফরোজা আব্বাসের নামে ওই টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদক আফরোজা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ী এমএনএইচ বুলুর কাছ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ ও বাবা-মা এবং বোনের কাছ থেকে ১ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দান হিসেবে নিয়েছেন। তবে ওই টাকাসহ মোট সম্পদের হিসাবের স্বপক্ষে কোনো রেকর্ড দেখাতে পারেননি।
অন্যদিকে আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী। কিন্তু তার স্বামী মির্জা আব্বাস বিভিন্ন খাতের টাকা স্ত্রীর নামে হস্তান্তর করেছেন। আফরোজা আব্বাস নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসেবে আয়কর নথিতে উল্লেখ করলেও তার নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই।
সারাবাংলা/এআই/ইআ