উত্তপ্ত রাবি ক্যাম্পাস, অবরুদ্ধ উপাচার্য
১২ মার্চ ২০২৩ ১৪:১৮ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৩ ১৪:২১
রাবি: শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়েছে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। দফায় দফায় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে এই হামলার বিচার ও প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলছেন শিক্ষার্থী। এই দাবিতে উপাচার্যকে অবরোধ করেছেন তারা।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা হয়।
জানা গেছে, শনিবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষ মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এই প্রতিবাদে সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকে।
দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের শান্ত করার জন্য আসেন। তখন উত্তপ্ত শিক্ষার্থী তাকে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, এই ঘটনার বিচার করতে হবে। প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার জবাব দিতে হবে। এই ব্যর্থতার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা ক্যাম্পাস। রোববার প্রধান ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, আজ সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেলা পৌনে ১১টার পর শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘোরে। মিছিলটি প্যারিস রোডে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
সেখান তাঁরা এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘এসো ভাই, এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’, ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘পুলিশের হামলা কেন, সন্ত্রাসীদের হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘টোকাইদের কালো হাত, ভেঙে দাও-গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সারাবাংলা/এমও