Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সীমানা চূড়ান্ত, যে কোনো সময়ে গেজেট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:০৬

ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের সীমানার খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই খসড়ার ওপর সংশ্লিষ্ট এলাকার যে কোনো ব্যক্তি দাবি-আপত্তি জানানোর সময় পাবেন ২০ দিন। সোমবারের (২৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে গেজেট প্রকাশ করা হবে।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে গেজেট হয়ে যাবে। এখানে নতুন কিছুই নেই। ২০১৮ সালে যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটাই অক্ষুণ্ণ রাখা রয়েছে। শুধু প্রশাসনিক কারণে নামের পরিবর্তন হয়েছে অথবা প্রশাসনিক বিভক্তি যেগুলো হয়েছে, সেগুলো পুরনো নাম বাদ দিয়ে নতুন নাম দিয়ে করা হয়েছে। কোনো পরিবর্তন নেই। সম্ভবত পাঁচ-ছয়টা এ ধরনের হতে পারে। কমিশন অনুমোদন করেছে। এখন সচিব এটি গেজেট করবেন।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে আরও বছরখানেক সময় লাগবে। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন করতে হবে। তাই আমরা অপেক্ষা করতে পারছি না। তারা খসড়া যেটা দিয়েছে সেটা আমলে নিয়েছি। তবে প্রশাসনিক অখণ্ডতা এবং ভৌগলিক বিষয়টাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আসনের সীমানা প্রকাশ করার পর যদি জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় প্রতিনিধি সমস্যা মনে করেন, তাহলে ২০ দিন সময় দেব, তারা আবেদন করতে পারবেন। প্রত্যেকটি আবেদনই আমরা শুনানি করব। তাদের বক্তব্য যদি সঠিক হয়, কেউ যদি বিরোধিতা না করেন এবং আমাদের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে তাদের বক্তব্য যৌক্তিক, তখন হয়তো আমরা পরিবর্তন আনতে পারি। এছাড়া আর কোনো পরিবর্তন হবে না।’

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি কমিশনার বলেন, ‘আগে একটা উপজেলা ছিল এখন দুইটা উপজেলা হয়েছে, এমন ক্ষেত্রে আমরা নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করেছি। আর কোনো পরিবর্তন আনিনি। কোনো রাজনীতিবিদ বা যে কেউ এই ক্ষেত্রে সীমানা পরিবর্তনের আবেদন করতে পারবেন।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যা হিসাবে প্রতি আসনে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ভোটার। আর জনসংখ্যার হিসাবে যদি আসনের সীমানা করি তাহলে দেখা যাবে যে কোনো কোনো জেলায় একটা আসন হবে। আবার কোনো কোনো জেলা থেকে আসন কেটে এনে অন্য জেলায় দিতে হবে। যেমন ঢাকায় যদি পাঁচ লাখ ৫০ হাজারের ভিত্তিতে দিই, তাহলে আরও ১০টা আসন বাড়াতে হবে। গাজীপুরে পাঁচটা, চট্টগ্রামে দুইটা, খুলনায় মনে হয় দুইটা বাড়াতে হয়, রাজশাহীতে বাড়াতে হয়। এভাবে যদি সব শহরে চলে আসে আসন, তাহলে অন্য জেলায় তো আসন হারাবে। এজন্যই প্রশাসনিক ও ভৌগলিক অখণ্ডতাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আইনেও তাই বলা হয়েছে।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা মনে করি শহর এলাকায় যে উন্নয়ন এতে সেবা দেওয়ার জন্য অনেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে। বরং গ্রাম অঞ্চলে ওই সব সুযোগ-সুবিধা অনেক কম। সেখানে সংসদ সদস্যের ভূমিকা অনেক বেশি। জনসংখ্যাকে প্রাধান্য দিয়ে কোনো পরিবর্ত আনা হয়নি।’

সারাবাংলা/জিএস/আইই

টপ নিউজ নির্বাচন কমিশন

বিজ্ঞাপন

টানা সাতে জয়ে দুর্বার মোহামেডান
১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৫

আরো

সম্পর্কিত খবর