ভালো ইলেকশন, ক্রটিমুক্ত ইলেকশন চাই: ওবায়দুল কাদের
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৯ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:২৪
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা অল থ্রু আমাদের সংবিধান ফলো করবো। আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ইলেকশনের জন্য অনেক রিফর্ম হয়েছে। কাজেই আমরা একটা ভালো ইলেকশন চাই। ক্রটিমুক্ত ইলেকশন চাই। গণতন্ত্র ব্যবস্থাকে আমরা আরও ম্যাচিউর দেখতে চাই। সে লক্ষ্যে যা যা করণীয় আমরা করবো।’
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশানে ইউরোপিয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডরদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে অ্যাম্বাসেডর’স রেসিডেন্স, অ্যাপার্টমেন্টে ইইউ অ্যাম্বাসডরদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ অংশ নেন।
রুলিংপার্টি হিসাবে আগামী ইলেকশন উপলক্ষে আপনাদের ভূমিকা কি থাকবে, এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন আগামী নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হবে, সুষ্ঠ হবে, অবাধ হবে। ইলেকশন কমিশন স্বাধীন, কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং ইলেকশন কমিশনকে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে মন্তব্য, সেটা থেকেই আমাদের উদ্দেশ্য পরিস্কার। আমাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ভিন্ন কিছু নেই। ওনি যা বলেছেন, আমরা তারই প্রতিধ্বনি করেছি। কারণ আমাদের পার্টিও একইভাবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইইউ’র পক্ষ থেকে কোনো অনুরোধ করা হয়েছে কি না তার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা তো কারও নির্দেশনা শুনবো না। আমাদের নির্দেশনা আমাদের সংবিধান, আমাদের গঠণতন্ত্র।’
বিএনপির পক্ষ থেকেও বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে অভিযোগ করা হয়, এ বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা যেভাবে এখানে এসেছেন বা মাঝেমাঝেই আসেন। আমরা দেখতে পাই, শুনতে পাই; তারা তো চুপিচুপি আসেন, গোপনে গোপনে আসেন। জানান না দিয়ে আসেন। আমরা কিন্তু কথাবার্তা বলেই এখানে আসছি। একেবারে ওপেন দাওয়াত দেওয়া হয়েছে এবং আমরা আসছি। সাংবাদিকদের কাছেও আমরা গোপন রাখিনি।’
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার ব্যাপারে তাদের (ইউরোপিয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডরদের) মনোভাব কি, এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের মনোভাবটা কি? এটা তাদেরই জিজ্ঞেস করুন। আমরা তাদের সঙ্গে খুব ফ্রুটফুল, মিনিংফুল, প্রোডাক্টটিভ আলোচনা করেছি। তারা অংশগ্রহণমূলক একটা ইলেকশন চায়। নিবন্ধিত সব দলই আসুক নির্বাচনে।’
রুলিং পার্টি হিসাবে কি উদ্যোগ থাকবে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে দল প্রেসিডেন্টের ডায়ালগ উপেক্ষা করে। ইলেকশন কমিশন তাদের দুই বার ডায়লগে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তারা আসে নাই। ডায়ালগের ব্যাপারে তো আমরা যা দেখতে পাচ্ছি তাদের একটা অনাগ্রহ রয়েছে। আসলে তারা মনের দিক থেকে ইলেকশনে যেতে ইচ্ছুক নয়। কারণ তারা জানে ইলেকশনে শেখ হাসিনা এবং তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই আবার ক্ষমতায় আসবে। হেরে যাওয়ার ভয়ে এখন কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। তারা ২০১৩/২০১৪ সালের মতো আগুন-সন্ত্রাস আবারও ভায়োলেন্স টেরোরিজমের ওপর ভর করে তারা সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।’
সারাবাংলা/এনআর/এমও