Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শান্তিরক্ষা মিশনে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-গাম্বিয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৪৭ | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৫৮

ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া যৌথভাবে কাজ করবে। এ বিষয়ে জয়েন্ট পলিটিক্যাল ডিক্লেরেশন সই করেছে দুই দেশ।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, এখন আমরা যে চুক্তিটি সই করলাম সেটি হচ্ছে শান্তিরক্ষী বাহিনীর কো-ডিপ্লয়মেন্ট সংক্রান্ত। ভবিষ্যতে আমাদের যত শান্তিরক্ষী বাহিনী যাবে, তার অনেকগুলোতে গাম্বিয়া থেকে শান্তিরক্ষী নেবো।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গাম্বিয়া, বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার লক্ষ্যে এই চুক্তি।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়া বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য অর্থের সঙ্কট আছে। যদিও আমরা এক্ষেত্রে আশাবাদী। অনেকেই অর্থের জন্য অঙ্গীকার করেছে।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে গাম্বিয়া, বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা হবে। বাংলাদেশ সবচেয়ে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কাজ করে। গাম্বিয়াও শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছে।

বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা এবং উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, বর্তমানে ৯টি শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করছে বাংলাদেশ। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ৮৪ হাজার বাংলাদেশি শন্তিরক্ষী জাতিসংঘে কাজ করেছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু তাঙ্গারা। এসময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দুই দেশের সৈন্য মোতায়েনে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের একটি অনুরোধপত্র হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

পরে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মতি দেন এবং জাতিসংঘের অনুমোদন সাপেক্ষে শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব বাস্তবায়নে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

সারাবাংলা/এসবি

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন শান্তিরক্ষা মিশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর