ফখরুল-আব্বাসের স্থায়ী জামিন
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪৫ | আপডেট: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:০৯
ঢাকা: রাজধানীর পল্টন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে স্থায়ী জামিন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম গোলাম মোস্তফা তারা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানার মামলায় ছয় মাসের জামিন দিয়েছিলেন। পাশাপাশি স্থায়ী জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছিলেন আদালত। পরে সেই জামিন আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। একইসঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ স্থায়ী জামিন প্রশ্নে জারি করা ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ওনারা জামিনেই থাকছেন।’
এর আগে, ৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন। একইসঙ্গে কেন তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এরপর জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে।
গত ৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ আদালত।
এরপর গত ৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন বহাল রেখে আদেশ দেন। এর পরদিন তারা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এর আগে, ২ জানুয়ারি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
তারও আগে নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়ার ১১ দিন পর গত ১ জানুয়ারি আদেশের কপি পান তাদের আইনজীবীরা। আদেশের কপি পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের নিজ নিজ বাসভবন থেকে তুলে নেওয়ার প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর ডিবির কার্যালয় থেকে ৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৭ ডিসেম্বর পল্টনে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে মির্জা ফখয়ল ও মির্জা আব্বাসের জামিন চার বার নামঞ্জুর হয়।
এর মধ্যে গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৫, ১২ ও ৯ ডিসেম্বর তিনটি আদালতে মির্জা ফখয়ল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ