বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:১৪ | আপডেট: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:২৮
ঢাকা: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীকে পদত্যাগ করে সংসদ বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিধান রেখে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ বিল-২০২’ পাস করেছে জাতীয় সংসদ ।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নওগাঁ জেলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষে সংদীয় কমিটির সুপারিশ আকারে বিলটি পাস হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর আগে, বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনীগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
ওই বিলে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদেশ ১৯৭৩ এর বিধান পরিপালন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। আচার্য নির্ধারিত শর্তে স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে ৪ বছরের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ করবেন। তবে উপাচার্য হিসেবে কেউ দুই মেয়াদের বেশি সময়ের জন্য নিয়োগ পাবেন না। আচার্য যেকোনো সময় উপাচার্যের নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী সংসদ সদস্য বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে ইস্তফা দেবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা যৌন হয়রানি, সংহিংসতা, নিপীড়ন প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সেন্ডিকেটের কাছে সুপারিশ করবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে নওগাঁ জেলায় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনএস