‘বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গণবিরোধী, তুঘলকি ও অযৌক্তিক’
৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:৪০ | আপডেট: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:১৩
ঢাকা: বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী, তুঘলকি ও অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা ও ভ্রান্ত নীতির কারণে এমনিতেই জনগণ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এর মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী, তুঘলকি ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। মাত্র ১৯ দিন আগে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম এক দফা বাড়িয়েছে। ১৯ দিন পর আবার খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে প্রতিটি জিনিসের দাম ফের বৃদ্ধি পাবে। এই বোঝা জনগণ আর সহ্য করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের সরকার নয় বলেই সরকার বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বার বার বৃদ্ধি করছে। এ বিষয়ে সরকরের অনুশোচনা নেই, বরং এসব তুঘলকি কাণ্ডের পক্ষে নির্লজ্জের মতো মিথ্যাচার করছে। গণবিরোধী সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। গত বছর রেকর্ড হারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের দাম একমাসেই রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চালাকি করছে। এতদিন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণশুনানি করে দাম বাড়াতো। সেখানেও সরকারের ইঙ্গিতে দাম বাড়ানো হতো। এবার সরকার এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে নিজেই দাম বাড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ সেক্টরে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাশুল জনগণকে দিতে হচ্ছে। অনুগত লোকদের দিয়ে উৎপাদন কেন্দ্র করিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতি, লুটপাটের কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে।’
বিবৃতিতে বিদ্যুতের এই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাশাপাশি আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে পূর্বঘোষিত বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান তিনি।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম