Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যুগপৎ আন্দোলনে জনগণের আস্থা বেড়েছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:২৪

ঢাকা: সরকার হটানোর ‘যুগপৎ আন্দোলনে জনগণের আস্থা বেড়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালযে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যুগপৎ আন্দোলনে অবশ্যই মানুষের মধ্যে একটা আস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো এই দাবির (১০ দফা দাবি) সঙ্গে একমত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছে, সংগ্রাম করছে। এটা (যুগপৎ আন্দোলন) নিঃসন্দেহে অনেক বড় মাত্রা যুক্ত করেছে এবং জনগণকে আশ্বস্ত করেছে।’

‘পথযাত্রা বিএনপির মরণযাত্রা’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এরকম বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কিশোর কুমারের একটা গান আছে না… মরণ যাত্রা যেদিন যাবে, ওইটা উনার (ওবায়দুল কাদের) মনে পড়ছে আরকি। উনি নিজের চিন্তা করছেন কি না আমি জানি না। আমরা পথযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে এইটুকু বলতে পারি, আমাদের পথযাত্রার মধ্য দিয়ে একটা নতুন মাত্রা সৃষ্টি হলো এবং জনগণের মধ্যে একটা আকাঙ্ক্ষা, গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য রাজপথে নেমে আসার একটা নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।’

রাজশাহীর সমাবেশ রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলো নিয়ে খুব বেশি কথা বলার প্রয়োজন আছে বলে আমাদের কাছে মনে হয় না। কারণ, বাই দিস টাইম, গোটা জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের সরকার ও তাদের যে চরিত্র, তাদের যে কর্মকাণ্ড- এটা খুব স্পষ্টভাবে এসে গেছে। তারা এদেশে সম্পূর্ণভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সবসময় একটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পলিটিক্যাল পার্টি। তারা মুখে বলে একটা কাজ করে আরেকটা।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আপনি দেখবেন, সরকার আমাদের প্রোগ্রামের তিন দিন আগে থেকে পরিবহন ধর্মঘট করিয়ে দেয়, তারা তিন দিন আগে থেকে পুলিশকে নামিয়ে দিয়ে রাস্তার মধ্যে বসিয়ে মোবাইল টেলিফোন পর্যন্ত চেক করতে থাকে। গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশের ১৫ দিন আগে এখানে একটা বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। সেই অভিযানটা কী? তাদের ভাষায় বিভিন্ন মাদক দ্রব্য, বেআইনি জিনিসগুলো প্রতিরোধ করার জন্য হোটেলে-রেস্টুরেন্টে-মেসে-ছাত্রবাসে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার ছেলে-পেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।’

‘এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কৌশল যে, তারা বিরোধী দলকে যেকোনো মূল্যে হোক বাধা প্রদান করবে, তাদের তারা কোনোভাবে কর্মসূচি করতে দেবে না। অন্যদিকে ভিন্নমত সহ্য করবে না। আর তারা (সরকারি দল) তাদেরটাকে বলতেই থাকবে, করতেই থাকবে এবং সেই ক্ষেত্রে তারা রাষ্ট্রের সমস্ত যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করবে’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আমরা আগামী দিনে আন্দোলনকে কীভাবে আরও গতিশীল করার যায়, তা নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কথা বলেছি এবং একটি স্থির সিদ্ধান্ত দিকে অগ্রসর হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের কথা আমি বলতে চাই না। শুধু এইটুকু বলতে চাই যে, সারাদেশে এই ফ্যাসিস্ট সরকারবিরোধী, এই অগণতান্ত্রিক সরকারবিরোধী সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এ টু জেড সমস্ত সরকারবিরোধী শক্তি আজ মনে মনে, অন্তরে অন্তরে সংকল্পবদ্ধ, ঐক্যবদ্ধ।’

‘আপনারা জানেন, আগামী ৪ তারিখে জোটের পক্ষ থেকে যে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, সেদিন আমরা ঘোষণা করতে চাই আরও বৃহত্তর কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি সার্থক করা, বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি’- মোস্তফা জামাল হায়দার।

বিজ্ঞাপন

লিয়াজোঁ কমিটির এই বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, এলডিপির আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল করিম, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, মুসলিম লীগের তফাজ্জ্বল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ও আবদুল আউয়াল মিন্টু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এজেড/এনএস

টপ নিউজ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগপৎ আন্দোলন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর