কর্নিয়া ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা ৪ জন সুস্থ আছেন
২২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৩ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৪
ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো ‘ব্রেইন ডেড’ রোগীর দান করা কিডনি অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক জানিয়েছেন, দুই ব্যক্তির চোখে কর্নিয়া এবং দুই ব্যক্তির শরীরে কিডনি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপন করা চারজনই সুস্থ আছেন।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে এই অর্গান প্রতিস্থাপনকে একটি মাইল ফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি সারাহ ইসলাম ঐশ্বর্যের মতো অর্গান দানে অন্যদের উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।
রোববার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুটি কর্নিয়া ও দুইটি কিডনি দান করে গেছেন সারাহ ইসলাম। তার অর্গান ব্যবহার করে কর্নিয়া পেয়েছেন ২৪ বছর বয়সী সুজন নামে একজন আর ৫৬ বছর বয়সী ফেরদৌস নামের আরেক ব্যক্তি। কিডনি পেয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী শামীমা এবং হাসিনা। তারা সবাই সুস্থ আছেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ চিকিৎসরা এই কাজটি করেছেন। এটি বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবায় মাইলফলক।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ এ সব চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায়। আমরা তা এখন দেশে করতে সফল হয়েছি। আমরা চাই, সবাই সুস্থভাবে বেঁচে থাকুক। মানুষ মারা যাওয়ার আগে যদি কিডনি দান করে যান তাহলে বহু লোকের জীবন বেঁচে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির কিডনি তো কয়েক ঘণ্টা পরই নষ্ট হয়ে যায়। তা যদি আগেই দান করে যান তাহলে একজনের জীবন বেঁচে যাবে।’
উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবারের মতো ব্রেইন ডেড রোগীর দান করা কিডনি অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয় গত বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে। দুইটি কিডনির একটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যটি প্রতিস্থাপন করা হয় কিডনি ফাউন্ডেশনে। সারাহ ইসলাম নামের ২০ বছর বয়সী একটি মেয়ের দান করা কিডনি দুই নারীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আর ওই তরুণীর কর্নিয়া দুইজন পুরুষের চোখে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের নানা ধরনের সযোগিতা দেবে। এদিকে দেশে গ্যাস্ট্রোলিভারকে আমরা প্রস্তত করছি সেখানেও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন চিকিৎসার জন্য মানুষকে বিদেশে যেতে না হয়। আমরা সমস্যার গভীরে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছি। সম্প্রতি বরিশাল ঘুরে এসেছি হাসপাতালে বৈঠক করেছি মনিটরিং বাড়াতে নির্দেশনা দিয়েছি। তদারকি করা হলে অবস্থা ভালো থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৪২ টি উপজেলার অনেক স্থানে এক্সরে মেশিন চলছে না। সেগুলো ঠিক করতে বলেছি। পাশাপাশি জনবল যেখানে নেই সেখানে লোক নিয়োগ দেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/জেআর/একে