তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়
১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৫ | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫০
ঢাকা: করোনার কারণে দীর্ঘ দুইবছর পর টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বসেছে বিশ্ব ইজতেমা। দেশি বিদেশি লাখো মুসল্লি এক সাথে আদায় করেছেন জুমার নামাজ।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় বৃহৎ এ জামায়াতের ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের খতিব ও তাবলীগের শুরা সদস্য মাওলানা জোবায়ের। এর আগে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে হয় জুমার আজান, ১টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় জুমার খুদবা। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় জুমার নামাজ, শেষ হয় দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের মূল আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি)।
এদিকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রয়েছে কঠোর অবস্থান। এ ছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও কাজ করছেন টঙ্গী ময়দানে। শীত উপেক্ষা করে কানায় কানায় পরিপূর্ণ টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দান। অপরদিকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে সকাল থেকেই বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল সীমিত করা হয়।
বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা জহির ইবনে মুসলিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুই বছর পর এবার ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইজতেমা শুরুর প্রায় তিন দিন আগে থেকেই মুসল্লিরা মাঠে প্রবেশ করেছেন। এ ছাড়া বিদেশি মুসল্লিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। নামাজ শেষে মুনাজাতে মুসলিম উম্মার জন্য স্ব স্ব জন শান্তি কামনায় দোয়া করেছেন। এ ছাড়া জুমার নামাজ ঘিরে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা জমায়েত হতে থাকে। জুমার নামাজে আব্দুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর আশেপাশের এলাকা মুসল্লিতে ভরে যায়।
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে ইজতেমা ময়দানে মারা গিয়েছেন ২জন। তারা হলেন, সিলেটের জৈন্তাপুর থানার হরিপুরের হেমুবটে পাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে নুরুল হক(৬৩) ও গাজীপুরের ভিরুলিয়া এলাকার আবু তৈয়ব ওরফে আবু তালেব (৯০)।
ইজতেমা মাঠে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ ১৪টি কন্ট্রোল রুম তৈরি করেছে। র্যাবের কন্ট্রোল রুম, ডিএমপি, এসবি, এটিও, সিআইডি, নৌ পুলিশ, অবজারভারভেশন টিম, র্যাবের হেলিকপ্টার, ডগ স্কোয়াড টিম, মোবাইল পেট্টোল টিম, বোম ডিস্পোজাল টিম কাজ করছে মাঠে।
অপরদিকে ইজতেমা ময়দান ৯১টি খিত্তায় বিভক্ত, খিত্তাভিক্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)’র পাশাপাশি ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্জ, সিআইডি, নৌপুলিশ, এন্টিট্যারিজম ইউনিট, রেলওয়ে পুলিশ আইনশৃঙ্খলাবাহিনী দায়িত্ব পালন করছে।
ছবি তুলেছেন: হাবিবুর রহমান
সারাবাংলা/এসজে/একে