মেট্রোরেলে প্রসব বেদনা, ফার্স্ট এইডে সন্তান জন্ম
১২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:২৬
ঢাকা: ‘ভোর থেকেই উত্তরা বিমানবন্দর সড়কে অস্বাভাবিক রকমের যানজট ছিল। তাই সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির জন্য মেট্রোরেলে চড়ি। যাত্রাপথেই আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠে। এতে কিছুটা ঘাবড়ে যাই। তবে সঙ্গে সঙ্গে দেখলাম ঈশ্বরের পাঠানো কিছু মানুষ এগিয়ে এলেন। এর একটু পরেই মেট্রোরেলের ফার্স্টএইড সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় আমার স্ত্রীকে। সেখানেই সন্তানের জন্ম হয়। বিপদে মানুষ এগিয়ে আসায় আমার সন্তান পৃথিবীর আলো দেখল। এই দেবদূতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই।’
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে সন্তানকে কোলে নিয়ে সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে কথাগুলো বলছিলেন সুকান্ত সাহা। তার ঠিক একটু আগেই সুকান্ত সাহা ও সোনিয়া রায় দম্পতির সন্তানের পৃথিবীতে আগমন ঘটে।
সুকান্ত সাহা বলেন, ‘দুইদিন আগেও ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর ফলোআপে যাই। উত্তরা বিমানবন্দর এলাকায় রাস্তার কাজ চলার কারণে স্ত্রীসহ মেট্রোতেই যাই আমরা। চিকিৎসক আজকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।’
তিনি বলেন, ‘আজ উত্তরা-বিমানবন্দর মহাসড়কে জ্যাম থাকার কারণে মেট্রোরেলেই হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দিই। পরিকল্পনা ছিল আগারগাঁও থেকে ধানমন্ডি চলে যাব। মেট্রোস্টেশনে লিফট থাকায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি চলাচলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু মেট্রোরেল চালুর পরই ওর প্রসব বেদনা ওঠে। সঙ্গে সঙ্গেই দেখলাম কিছু মানুষ ছুটে এলেন। এক পর্যায়ে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ফার্স্ট এইড সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সন্তানের জন্ম হয়। স্বাভাবিক সন্তানপ্রসব হওয়ায় কোনো জটিলতা তৈরি হয়নি। মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছে।’
সুকান্ত বলেন, ‘আমি আসলে সবাইকে কিভাবে কৃতজ্ঞতা জানাবো বুঝে উঠতে পারছি না। প্রসববেদনার সঙ্গে সঙ্গে যারা ছুটে এলো, আর ফার্স্ট এইড সেন্টারে যেভাবে স্কাউট ভাইবোনেরা সাহায্য করল- তাদের সবার প্রতি আসলে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই।’
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষই আমাদের তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করে দেন। সব মিলিয়ে বলব, সৃষ্টিকর্তা আমার সন্তানের জন্মদানের জন্য কিছু দেবদূত পাঠিয়েছিলেন।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম