গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন: মেয়ে-মায়ের পর আরও ১ মৃত্যু
১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫৮
ঢাকা: ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় সাদিয়া আক্তার (২০) নামে আরও একজন মারা গেছে। এ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হলো।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয় সাদিয়ার।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, সাদিয়ার শরীরে ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
শনিবার ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় দেড় বছরের শিশু মরিয়াম, ১০ জানুয়ারি ভোরে মারা যান মরিয়মের মা জোসনা বেগম (২৫)। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে মারা যাওয়া সাদিয়া ছিলেন জোসনা বেগমের ভাগ্নি। খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তিনি অন্যদের সঙ্গে দগ্ধ হন।
হাসপাতালে দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন সাদিয়ার আরেক খালা হোসনে আরা। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া সাদিয়ার খালু মনজুরুলের ৩৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
মৃত সাদিয়ার মামা কামাল হোসেন জানান, সাদিয়া ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মকবুল হোসেনের মেয়ে। কিশোরগঞ্জ ভৈরবে মামার বাসায় থাকতেন সাদিয়া। সেখানে জিল্লুর রহমান কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ধামরাইয়ে খালা জোসনার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার কুমড়াইল কবরস্থানের সংলগ্ন দুতলা বাড়ির নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মো. নিজাম শেখ জানান, ভোরে তারা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। এরপর ভবনের নিচ তলা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে নিচ তলায় গিয়ে দেখেন, বাসাটির ভিতর পাঁচজন দগ্ধ অবস্থায় কাতরাচ্ছে। আর আগুনে বিছানার কিছুটা পুড়ে গেছে। তখন তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
স্বজনদের ধারণা, ভোরে রান্নার জন্য উঠে আগুন জালানোর পর লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ হয়ে তারা দগ্ধ হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ ভৈরবের মৃত হাজী মোস্তফা মইনুদ্দিনের মেয়ে জোছনা। আর তার স্বামী মনজুরুলের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়।
সারাবাংলা/এসএসআর/একে