Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে আসছে নতুন আইন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৩১ | আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:৩২

ঢাকা: আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সরকার সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগে আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত বিল জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে এ তথ্য জানান তিনি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিষেশাধিকার) বিল-২০২৩ নিয়ে বিরোধীদলের সদস্যদের যাচাই-বাছাই প্রস্তারের জবাবে আইনমন্ত্রী কথা বলছিলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন মন্ত্রী। বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাইয়ের জন্য কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব এবং সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন বিরোধীদলীয় সদস্যরা। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।

বিজ্ঞাপন

বিলটির ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান ও বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমান আদালতের বিচারক নিয়োগে আইন করার দাবি জানান। এরপর বিলটির ওপর বক্তব্যের সময় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচার নিয়োগের ব্যাপারে সংসদ সদস্যরা আইন করার কথা বলেছেন। উনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে, এই আইনটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। কিছু দিনের মধ্যে সংসদে আনতে পারব। এছাড়া উনারা ইন্ডিপেন্ডন্ট প্রসিকিউশন নিয়োগ আইনের কথা বলেছেন। সেটা নিয়েও চিন্তাভাবনা হচ্ছে। এ আইনটিও সংসদ চলাকালে দেখতে পাবেন।’

সরকার আদালতের মামলার জট কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে এবং জট কমে আসছে বলেও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান। তিনি বলেন, ‘ওনারা (বিরোধী দলের সদস্যরা) যেটা বলেছেন, তা সঠিক বলেছেন। এখনো মামলার জট আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মামলা জট কমানোর পদক্ষেপও নিয়েছে। আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, ইতোমধ্যে মামলার জট কমছে।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ‘দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধই বলি, আর সরকারের ব্যর্থতাই বলি, দ্রব্যমুল্য মানুষের জন্য দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। নতুন পে-স্কেলের জন্য সরকারি কর্মচারীরা দাবি জানাচ্ছেন। তারা চলতে পারছেন না। অবশ্য যারা দুনীতি করে তাদের বিষয়টি আলাদা। এই অবস্থায় আইনটি পাস হলে জনপ্রশাসনে অসন্তোষ বাড়বে। তাই বিলটি পাসের আগে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার।’

জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে আইন করার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। প্রসিকিউশন নিয়োগেও আইন করার কথা ছিল সেটাও হয়নি। আশা করি আইনমন্ত্রী এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন।’ আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামও একই দাবি জানান।

এদিকে, পাস হওয়া বিলে প্রধান বিচারপতির অবসরোত্তর বিশেষ ভাতার বিধান ২০২১ সালের মে মাস থেকে কার্যকর করার বিধান রাখা হয়েছে। কোনো বিচারক অবসর গ্রহণকালে ১৮ মাসের ছুটি নগদায়নের সুবিধা প্রাপ্য হবেন। এছাড়া অবসর গ্রহণকারী বিচারকদের জন্য উৎসব ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

টপ নিউজ বিচারক নিয়োগ বিল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর