গণমাধ্যমকর্মী বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ৯০ দিন সময় নিলো সংসদীয় কমিটি
৮ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৫৯
ঢাকা: গণমাধ্যমকর্মী (চাকরি শর্তাবলী) বিল পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য আরও ৯০ দিন সময় নিলো সংসদীয় কমিটি।
সংসদে উত্থাপনের পর প্রস্তাবিত আইনটি নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে না পারায় রোববার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ বিলটি পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য আবারও সময় চাওয়া হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিরি সভাপতি হাসানুল হক ইনু গণমাধ্যমকর্মী (চাকরি শর্তাবলী) বিল-২০২২ পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য আরও ৯০ দিন সময় চান। এ সময় স্পিকার এটি ভোটে দিলে তা কণ্ঠ ভোটে দিলে পাস হয়। এর ফলে মোট তিন দফায় ২৭০ দিন অর্থাৎ ৯ মাস সময় নিলো সংসদীয় কমিটি।
এর আগে, গত বছর (২০২২) ২৮ মার্চ মাত্র এক মাসের নোটিশে বা এক মাসের মূল বেতন পরিশোধ করে চাকরিচ্যুত করা যাবে এবং ন্যুনতম বেতন হারের কম বেতন দিলে এক বছর থেকে পাঁচ বছরের জেলের বিধান রেখে বহুল আলোচিত গণমাধ্যমকর্মী (চাকরি শর্তাবলী) বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়। এর পর এ বিলটি পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। তখন বিলটি পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল।
এর পর কমিটির গত বছর অর্থাৎ ২০২২ এর ৬ জুন আরও ৬০ দিন সময় নেয়। গত বছরের ৩০ আগস্ট আরও ৬০ দিন সময় চাইলে সংসদ তা অনুমোদন দেয়।
এরপর রোববার এ বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আরও ৯০ দিন সময় চান সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। পরে স্পিকার তা ভোটে দিলে হ্যাঁ সুচক ভোটে ৯০ দিন সময়ের অনুমতি দেয় সংসদ।
প্রস্তাবিত ‘গণমাধ্যমকর্মী বিল-২০২২’কে বৈষম্যমূলক ও এতে গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির সুরক্ষা, সংশ্লিষ্ট সুবিধাদি ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমনকি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর বিরোধিতা করে বিবৃতি দেয়।
বিলে বলা হয়েছে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। কোনো গণমাধ্যমকর্মী আদালতে মিথ্যা বিবৃতি দিলে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের জেল হবে। গণমাধ্যম মালিক মিথ্যা বিবৃতি দিলে অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা তিন মাসের কারাদণ্ড হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন পরিশোধ, ছুটি নির্ধারণ এবং দাবি নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনে আদালত গঠন করা যাবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে