সংখ্যালঘু-আদিবাসী মিলিতভাবে আন্দোলন করবে : সন্তু লারমা
৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৫০
চট্টগ্রাম ব্যুরো : দাবি আদায়ে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ‘আদিবাসী’ সমাজ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ঢাকা অভিমুখী রোড মার্চের উদ্বোধন করে সন্তু লারমা একথা জানিয়েছেন।
রোডমার্চের উদ্বোধন ঘোষণা করে সন্তু লারমা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনের যে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় এই রোড মার্চ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নানাক্ষেত্রে শোষিত, বঞ্চিত ও প্রতারিত হয়ে আসছে। আজকের এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আদিবাসী সমাজ ও সংখ্যালঘু সমাজ তাদের স্বাধিকার, অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। এই কর্মসূচি শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, দাবি আদায়ের সংগ্রাম আরও জোরদার করতে হবে।’
‘আমি আহ্বান জানাই, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা যে যেখানে থাকুন না কেন, আপনারা এই সাত দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্দোলনে আসুন। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং আদিবাসী সমাজ মিলিতভাবে সাত দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে। আমাদের জীবনধারণের ওপর যে বঞ্চনা ও শোষণ নিপীড়ন চলছে, সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তা অবসানের লক্ষ্যে আমরা অগ্রসর হবো।’— বলেন সন্তু লারমা
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে সর্বস্তরের কর্মী-সর্মথকদের আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঐক্য পরিষদের সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন মানিকও বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদীবাসী জনগোষ্ঠীর স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় ২০১৮ সালের সরকারি দলের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবিতে সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রোড মার্চ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। শনিবার দুপুরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হয়ে পদযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে তাঁর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করবেন ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা।
দাবির মধ্যে আছে— সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন।
সারাবাংলা/আরডি/একে