২০২২ সালে ১৬১৯ জন কন্যা এবং ১৮৭৬ জন নারী নির্যাতনের শিকার
২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৮ | আপডেট: ২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৫১
ঢাকা: ২০২২ সালে এক হাজার ৮৭৬ জন নারী এবং এক হাজার ৬১৯ জন কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। রোববার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট তিন হাজার ৪৯৫ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৭২ জন কন্যা ও ৩১৫ জন নারী। এদের মধ্যে ১২১ জন কন্যাসহ ২২৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ২৩ জন কন্যাসহ ৩৮ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ৭ জন কন্যাসহ ৮ জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়াও ৯৪ জন কন্যাসহ ১৪০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
যৌন নিপীড়নের শিকার ১৬৩ জনের মধ্যে ১২২ জনই কন্যা। উত্ত্যক্তকরণের শিকার ১২৫ জনের মধ্যে ১০৪ জন কন্যা। উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ছয় কন্যাসহ সাতজন।
নারী ও কন্যা পাচারের ১০৮টি ঘটনার শিকার ২৮ জন কন্যা। এসিডদগ্ধের শিকার ২২ জনের মধ্যে কন্যা তিনজন। ২৫টি অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং যার মধ্যে তিনজন কন্যা। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার ১৬৫ জনের মধ্যে ৬৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এই ৬৫ জনের মধ্যে তিনজন কন্যা। শারীরিক নির্যাতনের শিকার ২১৯ জনের মধ্যে ৫১ জন কন্যা।
পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার ২১ জনের মধ্যে পাঁচজন কন্যা। প্রতিকার রিপোর্ট অনুযায়ী বছরে সারাদেশে মানসিক নির্যাতনের শিকার ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন একজন। ১৩ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজন গৃহকর্মী হত্যার ঘটনা ঘটেছে এবং দুইজন আত্মহত্যা করেছেন। বিভিন্ন কারণে ৯২ জন কন্যাসহ ৫০৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৫২ জনকে যার মধ্যে কন্যা ১২ জন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬৯ জন কন্যাসহ ৩১০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৮২ জন কন্যাসহ ২৩৯ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১৬ জন কন্যাসহ ৩৭ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। এছাড়াও আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা কন্যাসহ পাঁচটি।
পিতৃত্বের দাবির ঘটনা একটি। ১০৯ জন কন্যাসহ ১২৭ জন অপহরণ এবং ছয়জন কন্যাসহ সাতজন অপহরণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন। একজন কন্যাসহ নয়জন ফতোয়ার শিকার হয়েছেন। দুইজনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা ঘটেছে দুইটি। পুলিশের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে পাঁচটি। ২৯ জন কন্যাসহ ৫৭ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ২৭টি। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ৬১টি। এছাড়া ৩১ জন কন্যাসহ ৯৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
সারাবাংলা/আরএফ/আইই