চলতি বছরে এক তৃতীয়াংশ অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়বে: আইএমএফ
২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৫৩ | আপডেট: ২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:২৫
নতুন বছরে বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়বে বলে সতর্ক করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সাল কঠিন হবে। কারণ বিশ্বের তিন প্রধান অর্থনীতির গতি একসঙ্গে ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধ, ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য, উচ্চ সুদের হার এবং চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলবে বলে জানান আইএমএফ প্রধান। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনের অর্থনীতির গতি একইসঙ্গে হ্রাস পাচ্ছে। এই তিন অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে, গত অক্টোবরে ২০২৩ সালের জন্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছিল আইএমএফ। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জন্য আইএমএফ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, যা গত বছরের (৩ দশমিক ২ শতাংশ) বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে কম।
বছরের প্রথম দিনে আইএমএফ প্রধান জর্জিয়েভা সিবিএস নিউজ প্রোগ্রাম ফেস দ্য নেশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি নতুন বছরে বিশ্ব অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ মন্দার কবলে পড়বে। এমনকি যেসব দেশের অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়বে না, সেসব দেশের জনগণও মন্দার কুফল ভোগ করবে। তাদের জীবনে এর প্রভাব পড়বে।
জর্জিয়েভা বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনে ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে নিম্ন প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। অতি-কঠোর শূন্য-কোভিড নীতি থেকে বের হওয়ার পর দেশটিতে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। চীনে দাবানলের মতো করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে, যার ফলে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক উৎপাদন প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে। এর আগে কঠোর শূন্য কোভিড নীতি চীনকে বাকি বৈশ্বিক বাণিজ্যিক সমন্বয়ের বাইরে রেখেছিল। ফলে সরবরাহ ব্যবস্থা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
তবে অর্থনীতির গতি হ্রাস পেলেও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আশাবাদ শুনিয়েছেন আইএমএফ প্রধান জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, তিন অর্থনীতির মধ্যে মার্কিন অর্থনীতি এখন শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত এটি হয়ত মন্দা এড়াতে পারবে। মার্কিন শ্রমবাজার এখনও বেশ শক্ত অবস্থানে আছে।
তিনি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি মিশ্র আশীর্বাদ কারণ যদি শ্রম বাজার খুব শক্তিশালী হয়, তাহলে মুদ্রাস্ফীতি কমাতে ফেডারেল ব্যাংককে বাড়তি সুদের হার আরও বেশি দিন ধরে রাখতে হতে পারে।
ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে ইউরোপে পরিস্থিতি বেশ খারাপ বলে জানান আইএমএফ প্রধান। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্ধেক মন্দায় পড়বে।
সারাবাংলা/আইই