নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা মেট্রোরেল পথ এলাকা
২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:০০ | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:২৯
ঢাকা: রাত পোহালেই চাকা ঘুরবে স্বপ্নের মেট্রোরেলের। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় এই স্বপ্ন যাত্রার উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পুরো রেলপথ এলাকা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবসময় প্রস্তুত থাকবে র্যাবের বিশেষ ফোর্স। ডগ স্কোয়াড, বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং হেলিকপ্টার প্রহরা থাকবে পুরো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় পর্যন্ত।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ২১ ডিসেম্বর মেট্রোরেল পথ সংলগ্ন বাসিন্দাদের প্রতি সাত নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। সেই নির্দেশনায় বলা হয়।
১। কোনো ভবন, বিল্ডিং বা ফ্ল্যাটে ২৯ ডিসেম্বরের আগে নতুন কোনো ভাড়াটিয়া উঠতে পারবে না।
২। কোনো ভবনের বানিজ্যিক স্পেসে ২৮ ডিসেম্বর নতুন কোনো অফিস, দোকান ও রেস্টুরেন্ট খুলতে পারবে না।
৩। ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল সংলগ্ন কোনো ভবনের বারান্দায়, ছাদে কাপড় শুকাতে দিতে পারবে না এবং দাঁড়াতেও পারবে না।
৪। ওইসব এলাকার ভবন, বিল্ডিং বা ফ্ল্যাটে ওইদিন কোনো ছবি বা ফেস্টুন লাগাতে পারবে না।
৫। মেট্রোরেল সংলগ্ন কোনো ভবনের বাণিজ্যিক স্পেসে বা আবাসিক হোটেলে ২৮ ডিসেম্বর কেউ অবস্থান করতে পারবেন না।
৬। ওই এলাকার কোনো ভবন বা ফ্ল্যাটে যদি কারও বৈধ অস্ত্র থাকে তা ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে থানায় জমা দিতে হবে।
৭। মেট্রোরেলের দুই পাশে সকল ব্যাংক বা এটিএম বুথ ২৮ ডিসেম্বর সকাল থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এরপর ২৬ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল পথ এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্দেশনা মনে করিয়ে দেয় পুলিশ। যেখানে সন্দেহ মনে হয়েছে সেখানে তল্লাশি করে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) র্যাবের পক্ষ থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। র্যাবের কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর ট্রেনে চড়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভ্রমণ করবেন। ১০ মিনিটের এই পথে র্যাবের পক্ষ থেকে সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা বহুতল ভবনে অবস্থান নেবেন। পাশাপাশি আকাশে র্যাবের হেলিকপ্টার টহলে প্রস্তুত থাকবে। থাকবে ডগ স্কোয়াড।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর ২৯ ডিসেম্বর থেকে জনসাধারণের চলাচল শুরু করবে মেট্রোরেল। সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পগুলোর মধ্যে মেট্রোরেল প্রকল্প একটি। মোট ছয়ভাগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ এর একাংশ যাত্রী পরিবহনের জন্য খুঁলে দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর যানজট কমিয়ে যাতায়াত সহজ করতে ২০১২ সালে ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুরুতে উত্তরা থেকে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত নির্মাণের কথা থাকলেও পরে সংশোধন করে তা কমলাপুর রেলওয়েস্টেশন পর্যন্ত রুট বাড়ানো হয়। এতে খরচ হচ্ছে প্রায়ে সাড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা।
সারাবাংলা/জেআর/এনএস