‘সড়ক-পরিবহনে শৃঙ্খলা না থাকলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়’
২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:১৪ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:১০
ঢাকা: স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে সড়ক আরও স্মার্টার করতে হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ কোনোদিনও হবে না, যদি রাস্তায় শৃঙ্খলা না থাকে। সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা না থাকলে আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশের ১০০টি মহাসড়ক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘২৮ তারিখে আমারা মেট্রোরেলের দুয়ার উন্মুক্ত করতে যাচ্ছি। উত্তরা থার্ড ফেইস থেকে আমরা আগারগাঁও পর্যন্ত খুলতে যাচ্ছি। আমাদের এমডি সিদ্দিক সাহেব অনেক পরিশ্রম করেছেন। এমআরটি-১ শুরু হবে একেবারে পাতালরেল। কমলাপুর থেকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত। পুরোটাই পাতাল রেল হবে। ওটা ২১ কিলোমিটার হবে। আর ১০ কিলোমিটার হবে ওপরে। মেট্রোরেলও আগামী বছর ডিসেম্বরে আমাদের এমআরটি-৬ পুরোপুরিভাবে শেষ করার ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছি।’
মন্ত্রী তার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা অনেক কিছু করেছি। কিন্তু যখন যশোর খুলনায় যাই মনটা খারাপ হয়ে যায়। এটা আমি অলরেডি কাজে লাগিয়েছি। সচিবও বলছে অগ্রগতি আছে। বারবার সংস্কারের বার্নিশ দিয়ে এ রাস্তার সমস্যার সমাধান হবে না। এটা আমার অভিজ্ঞতা, অনেকবার দেখেছি। যশোর-খুলনারটা আমাদের করতে হবে।’
এ ছাড়া, দুর্গাপুর-বিরিশিরি রাস্তায় অতিরিক্ত বালুবাহী গাড়ি চলাচলের জন্য রাস্তাটা টেকানো যাচ্ছে না উল্লেখ করে এ ব্যাপারে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বহুল প্রতিক্ষীত সিলেট তামাবিল রাস্তার অগ্রগতির বিষয়েও অবহিত করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের নেক্সট ভিশন-২০৪১, স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে সড়কেও আমাদের দায়িত্ব আছে। সড়ক আরও স্মার্টার হতে হবে। যশোর-খুলনার মতো রাস্তা আমার স্মার্ট বাংলাদেশের অন্তরায়। খুব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এগুলো আমাদের দেখতে হবে।
‘ঢাকা-কক্সবাজার সড়কের বিষয়ে জাইকার সঙ্গে প্রায় কথাবার্তা হয়ে গেছে। সে বিষয়েও আমরা আশাবাদী। কারণ ওইদিকে মাতারবাড়ি আছে। সেদিকে চিন্তা করে জাইকাও ভাবছে’, বলেন মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ১০০টি মহাসড়কের মধ্যে ৯৯টি সরকারি তহবিল থেকে সম্পন্ন হয়েছে, বাকি একটি এবং ৭০ কিলোমিটার গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা মহাসড়ক পর্যন্ত ৬১৬৮ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এডিবি, ওপেক ও আবুধাবির তহবিলের আওতায়।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে ৭ নভেম্বর সারাদেশের ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকৃত রাস্তাগুলোর মধ্যে শুধু বিদেশি ঋণে ৭০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় দুই পাশে সার্ভিস লেন দিয়ে সড়কটি চার লেন করা হয়েছে। সড়ক ও মহাসড়কের একটি ২২ হাজার ৭৭৪ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সড়কের সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন।
সারাবাংলা/এনআর/ইআ