টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র মুক্তির হাইকোর্টে জামিন আবেদন
২০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৯
ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌর সভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।
বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি জানান, আজ মামলাটি কার্যতালিকাভুক্ত ছিল। কিন্তু আমরা নট টুডে (আজ শুনানি নয়) আদেশ নিয়েছি।
আসামি মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই। তার বাবা আতাউর রহমান খান এই আসনের বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য।
দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেফতার করে। আদালতে এ দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
এরপর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
সহিদুর রহমান খান মুক্তি চলতি বছরের শুরুতে টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। সেখানে জামিন নামঞ্জুর হলে তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। গত ২৭ এপ্রিল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মুক্তিকে জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তারপর হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
এরপর হাইকোর্টে রুল শুনানি হয়। ১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন খারিজ হয়।
এরপর আবার বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন করেন মুক্তি। যা গত ২৪ অক্টোবর নামঞ্জুর হয়। এরপর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মুক্তি।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ