‘দেশেই চিকিৎসা নিতে মানুষের কনফিডেন্সের অভাব রয়েছে’

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমাদের দেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানুষের কিছুটা কনফিডেন্সের অভাব রয়েছে। সেই কনফিডেন্স আমাদেরই উন্নত করতে হবে- গবেষণা, কাজ, চিকিৎসা এবং শিক্ষার মাধ্যমে।’

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ চিকিৎসা শিক্ষার কৌশল বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গবেষণার অভাব রয়েছে। আমাদের আরও বেশি গবেষণা করা প্রয়োজন। গবেষণার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনেক গুরুত্ব এবং জোর দিয়েছেন। আমরাও গবেষণায় গুরুত্ব দিচ্ছি। গবেষণার মাধ্যমেই উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা পেতে পারি। তাহলে জনগণ বিদেশের পরিবর্তে দেশেই চিকিৎসা গ্রহণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ তার সকল সম্পদ বিক্রি করে হলেও ভালো একজন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করতে চায়।
মানুষ তার নিজের এবং তার প্রিয়জনদের জীবনের ঝুঁকি নিতে চায় না। সেজন্য চিকিৎসা ক্ষেত্র নিয়ে মানুষের মধ্যে কনফিডেন্স বাড়াতে হবে। ইতোমধ্যে কনফিডেন্স অনেকটাই বেড়েছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন দেশেই অনেক বাইপাস সার্জারি হচ্ছে, যা আগে কখনো হতো না। বাংলাদেশে এখন যথেষ্ট উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে। আগামীতে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার ৯০ শতাংশ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান আমলে হয়েছে।’

বিরোধী দলের উদ্দেশে জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিরোধীরা অনেক কথা বলে, তারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। আপনারা ১০০টি মেডিকেল কলেজ দেখতে পান না। নিউরোসাইন্স, বার্ন ইনস্টিটিউট, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল— এগুলো আপনাদের চোখে পড়ছে না। জেলা হাসপাতালগুলো আড়াই’শ শয্যার হয়ে গেছে, বাংলাদেশে ওষুধের কোনো অভাব নেই, কিন্তু আগে এই অবস্থা ছিল না।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।

সারাবাংলা/এসবি/এনএস

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক